ওয়েব ডেস্ক: তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ইরান-ইজরায়েলের সংঘাত (Iran-Israel conflict) । দুদেশের লড়াই ষষ্ঠ দিনে পড়ল। এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন হচ্ছে কোন দিকে যাচ্ছে ইরান-ইজরায়েলের সংঘাত। তার কারণ দু দেশের পক্ষ থেকে আঘাত ও প্রত্যাঘাতের তীব্রতা আরও বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দুদেশে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা। এই আবহে ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বে তেল ভাণ্ডার ও শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। সোশ্যাল মিডিয়ায়সেই ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে। যেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলার ছবি দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে ইজরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। বুধবার ভোররাতে ইজরায়েলের তেল আভিভে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালায় ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের ‘প্রলয়োল্লাস’ শুরু হয়েছে তাতে বিশেষজ্ঞদের মতে তৃতীয় বিশ্ব ষুদ্ধের পদধ্বনী শোনা যাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে মহাযুদ্ধ। আঘাত পাল্টা প্রত্যাঘাতে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত (Iran-Israel conflict) ক্রমশই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ইরান ও ইজরায়েলের লড়াই আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যে তেহেরানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়া ও ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের শবর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। ইতিমধ্যে আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে কিছু ভারতীয়কে ইরান থেকে নিরাপদে বার করে আনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে তেহরানের ৮০টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই সাংঘাতের পরিস্থিতির মধ্যেই ডি৭ সম্মলনে ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে,ইরান আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর। ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইজ়রায়েলের আত্মরক্ষার স্বার্থে আমরা তাদের সমর্থন করছি। চিন-রাশিয়া ইরানের পাশে। কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ তা নিয়ে ভয়ে শঙ্কিত গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের মাঝেই ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার, মৃত ১৪
ইরান পরমাণু পরমাণু বোমা বানাচ্ছে। তা থেকে ইজরায়েলকে রক্ষা করার কথা বলেই গত শুক্রবার ভোরে ইরানের উপর ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করে ইজরায়েল। ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হয়। তারপর থেকেই দুই দেশের সংঘাত ক্রমশ বেড়েছে। ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র বার্তা দিয়েছিল তেহরানের একটি নির্দিষ্ট এলাকা ফাঁকা করার। তারপরইতেহরানের উত্তর-পূর্বে তেল ভাণ্ডার ও শোধনাগারে হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। এদিকে, ইজরায়েলের তেল আভিভ শহরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বুধবার ভোর রাতে ইরান প্রায় ১০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, বেশিরভাগ মিসাইলকে প্রতিহত করা গিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই (Ayatollah Ali Khamenei) ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডলে এক বার্তায় তিনি বলেন, ইজরায়েলকে কড়া জবাব দিতে হবে। কোনওরকম দয়া দেখানো হবে না।
দু দেশের পক্ষ থেকে আঘাত ও প্রত্যাঘাতের তীব্রতা আরও বেড়ে গিয়েছে। দুদেশে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা। একদিকে ইরান ইজরায়েলের রাজধীনী তেল আভিভে হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) বাড়ির কাছাকাছি হামলা চালিয়েছে। উল্টো দিকে ইরানের একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে। ইরানের মাসাদ বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ইরানের সব থেকে বড় তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ইরান ইজরায়েলের বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। পাল্টা ইরানের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ফলে সব মিলিয়ে এই সংঘাতের তীব্রতা বাড়ছে। এই হামলায় ইরানের সেনা প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। মিসাইল হামলায় বেশ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে। ইরানের হামলায় ইজরায়েলের বহু সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব থেকে ছাড় পাচ্ছে না দুদেশের সাধারণ মানুষ। কী ভাবে এই মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন এখন সেই চিন্তাই গ্রাস করেছে দুদেশের সাধারণ নাগরিককে।
অন্য খবর দেখুন