ওয়েব ডেস্ক: বুধবার ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক মিসাইল ‘ফতেহ-১’ ছুড়েছিল ইরানি সেনা। সেই থেকে যুদ্ধের (Israel-Iran War) প্রকৃতি কিছুটা বদলে গিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে এখন কিছুটা পাল্লা ভারী ইরানের। অন্তত বৃহস্পতিবার সকালের ছবি সেই কথাই বলছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এদিন একের পর এক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile) ছুড়েছে ইরান। ইরান থেকে ‘কয়েক ডজন’ ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে এসেছে বলেই জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের তরফে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তার মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের বেসামরিক আবাসন এলাকায় আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ এনেছে ইজরায়েলি সেনা। সবথেকে গুরুতর হামলা হয়েছে দক্ষিণ ইজরায়েলের বের-শেভা শহরে। সেখানকার একটি হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ। হামলার ফলে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কতজন আহত হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত সাধারণ মানুষকে ওই হাসপাতালে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষিপ্ত খামেনির কড়া সিদ্ধান্ত, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন?
অন্যদিকে, ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএনআরএ দাবি করেছে, ইজরায়েলের সেনা সদর দফতর—আইডিএফ কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স হেডকোয়ার্টারে হামলা চালিয়েছে ইরানি সেনা। একই সঙ্গে গাভ-ইয়াম এলাকার সামরিক গোয়েন্দা দফতরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করছে ইরান। সেই এলাকাটিই বের-শেভার সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নিকটবর্তী। যদিও ইরানি সংবাদ সংস্থার দাবি, হাসপাতাল নয়, ক্ষেপণাস্ত্রের আসল লক্ষ্য ছিল ইজরায়েলের সামরিক কাঠামো।
প্রসঙ্গত, বুধবার কোনও হুমকির সামনে মাথা নত না করার হুঁশিয়ারি দেন ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনি (Ali Khamenei)। এক টেলিভিশন বার্তায় তিনি বলেন, “আরোপিত যুদ্ধের মুখে ইরান কঠোর অবস্থান নেবে। আরোপিত শান্তির বিরুদ্ধেও ইরানের অবস্থান হবে সমান।” একইসঙ্গে দৃঢ় কন্ঠে তিনি জানিয়ে দেন, “আরোপের মুখে এই দেশ কারও সামনে আত্মসমর্পণ করবে না।” তারপরেই ইজরায়েলের উপর হামলার ঝাঁঝ বাড়ায় ইরান।
দেখুন আরও খবর: