ওয়েব ডেস্ক: ইরানে (Iran) হামলা চালানোর কয়েকঘন্টার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে আমেরিকা (USA)। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়েছিলেন যে, দুই দেশই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। তারপর থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একের পর এক তিনটি সমাজমাধ্যম পোস্টে তিনি জানালেন, “সংঘর্ষবিরতি এখন থেকে কার্যকর হচ্ছে। দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।” কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে?
সোমবার রাতে প্রথম পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান এবং ইজরায়েল (Israel)— উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তে বিশ্বের জয় হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের সেই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সাফ জানিয়ে দেন, এমন কোনও চুক্তি হয়নি। তাঁর কথায়, “সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে ইরানের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হয়নি।”
আরও পড়ুন: “কীসের যুদ্ধবিরতি? আরও মারব,” সাফ জানিয়ে দিল ইরান
তবে ইরান আশ্বাস দিয়েছে, ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ রাখে, তবে তেহরানও আর নতুন করে সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। যদিও মঙ্গলবার সকালেই ইজরায়েল অভিযোগ করেছে, তাদের ভূখণ্ডে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের বিভিন্ন শহরে সকালের দিকে সাইরেন বাজতে শোনা যায়। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী (IDF) জানিয়েছে, তিন দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত তিন জন নিহত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতেই ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় পোস্টে জানান, ইরান ও ইজরায়েল তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে শান্তি চাওয়ার বার্তা পাঠিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি জানতাম এটাই সঠিক সময়। শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভালোবাসাই হবে দুই দেশের ভবিষ্যৎ। তবে ধর্ম ও সত্য থেকে বিচ্যুতি ঘটলে মূল্য চোকাতে হবে।”
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আশাবাদী বার্তার পরেও, ইরান কিংবা ইজরায়েলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ পায়নি, যা ট্রাম্পের দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। এরপরেই আসে তাঁর তৃতীয় পোস্ট— যেখানে তিনি সরাসরি বলেন, সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে বাস্তব পরিস্থিতি বলছে অন্য কথা। ইরানের সরকারি স্তরে এখনো কোনও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয়নি। ইজরায়েলও স্পষ্ট জানায়নি তারা হামলা পুরোপুরি বন্ধ করছে। ফলে ট্রাম্পের ঘোষণার বাস্তবতা নিয়ে দানা বাঁধছে সন্দেহ।
দেখুন আরও খবর: