ওয়েব ডেস্ক: ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে (Iran Nuclear Sites) মার্কিন হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘দাবি’ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওই পরমাণবিক কেন্দ্রগুলি (Iran Huge Damage Nuclear Sites)। হামলার পর থেকে যে সব প্রাথমিক রিপোর্ট এবং উপগ্রহচিত্র প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল, তাতে দানা বাঁধছিল বিভ্রান্তিও। ইরানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই একটি সাক্ষাৎকারে পরমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মানতে চায়নি ইরান।
গত রবিবার ইরানের ৩ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। তারপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে যুদ্ধপরিস্থিতি। একাধিক দেশের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে পালটা হামলা চালায় ইরানও। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির পথে হেঁটেছে সবপক্ষ। মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেই এতদিন দাবি করে এসেছে সেদেশের প্রশাসন। বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে স্যাটেলাইট ইমেজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে বড়বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। ভেঙেচুরে গিয়েছে গবেষণা কেন্দ্রের একাধিক ভবনও।ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন:অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করা পাক কর্তা মেজর মোইজ আব্বাস শাহের মৃত্যু তালিবানি হামলায়
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকার হামলায় দু’টি পরমাণুকেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ভূগর্ভস্থ ভবনগুলিকে ধ্বংস করা যায়নি। ফলে ইরানের পরমাণু কর্মকাণ্ড কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে মাত্র। এখানেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কারণ, হামলার পরে পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে তিনি ‘নিশ্চিহ্ন’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। ট্রাম্পের এই দাবির খানিক পরেই ইরানের তরফে মেনে নেওয়া হয়, মার্কিন হামলায় ক্ষতি হয়েছে। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের পরমাণু কেন্দ্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
অন্য খবর দেখুন