ওয়েব ডেস্ক: কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিএনপি (BNP) সরকারের এক নেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তারপর দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে তাঁর জামিন নিয়ে টানাপোড়েনের পর অবশেষে গতকাল অর্থাৎ বুধবার বাংলাদেশ হাইকোর্টের (Bangladesh Highcourt )দুই বিচারপতির বেঞ্চ তাঁর জামিন মামলায় রায় ঘোষণা করে।
কিন্তু এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাইকোর্টের (Bangladesh Highcourt)এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন ওই দেশের সুপ্রিম কোর্টে (Bangladesh Supreme Court)। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়েছে।
‘ প্রথম আলো ‘ সূত্রে খবর, জামিন স্থগিতের আবেদন ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জমা করেছে। জানা যাচ্ছে, আগামী রবিবার হতে পারে এই মামলার শুনানি। জানান বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। যার জেরে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশ হাইকোর্ট থেকে জামিন মিললেও এখনই জেলমুক্তির কোনরকম সম্ভাবনা নেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের। রবিবারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির পর তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, শর্ত কী কী?
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই সেখানকার সংখ্যালঘুদের উপর শুরু হয় অত্যাচার। আর সেই অত্যাচারের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্মীয় সংগঠন মিলে গঠন করে ‘সনাতনী জাগরণ মঞ্চ’। সেই মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বারংবার সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁর ডাকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাবেশ আয়োজিত হয়। আআর সেই প্রতিবাদের জেরেই জেলবন্দি হতে হয় তাঁকে।
দেখুন অন্য খবর