লন্ডন: তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ । যা আগামী দিনে বিশেষ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। শনিবার এমনটাই অভিমত পোষণ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র। ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ২০তম বার্ষিকীতে সংবাদ পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যে তুলে ধরেন মুখপাত্র জেড তারার। সেই বক্তব্যেই তিনি এ কথা বলেছেন৷
২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে হামলা আফগানিস্তানের যুদ্ধে আল কায়েদার সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে নির্মূল করার কেন্দ্রীয় লক্ষ্য অর্জন করেছে। এখন, আফগানিস্তানের জনগণকে সমর্থন করার পরবর্তী অধ্যায়ের দিকে নজর দেওয়ার জন্য ভারতের মতো “সমবেদনা অংশীদার এবং গণতন্ত্রের” গড়ার কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-আফগানিস্তানের সঙ্গে বিমান পরিষেবা চালু করছে পাকিস্তান
তিনি বলেন, “ভারতের আঞ্চলিক মিত্র হওয়ার ভূমিকা রয়েছে। মানবিক ভূমিকা এবং পূর্ববর্তী বিনিয়োগের ভূমিকা আফগানিস্তানের ভবিষ্যতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে৷” “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ভারতের ভূমিকা রয়েছে। আমরা এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে নিউইয়র্ক, নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনে বিস্তারিত আলোচনা করছি। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে বিমানের মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য “অভূতপূর্ব বিমান চলাচল” ৩১ অগস্টের মধ্যে মার্কিন বাহিনী সম্পন্ন করেছে।
আরও পড়ুন-স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন সুসারি তিরকি
তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমাদের একটা বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া দরকার। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উদ্দেশ্য ছিল এবং তা ছিল আল কায়েদা নির্মূল করা। আমরা অনেক বছর আগে সেই উদ্দেশ্যটি সম্পন্ন করেছি। ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয়ে আমরা গত ২০ বছরে লক্ষ লক্ষ আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ করার এবং দেশ থেকে মার্কিন ও মিত্র বাহিনীকে সরানোর এখনই সময়।
আরও পড়ুন-আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে ‘ভাইরাস’ বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার
পিটিআইকে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি বাইডেন বলেছেন, এই কাজ করার জন্য কখনই নিখুঁত সময় হবে না। আমাদের মাটিতে কখনই নিখুঁত অবস্থা থাকবে না৷ তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে পরবর্তী পদাধিকারীদের কাছে যুদ্ধ হস্তান্তর না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন।