ওয়েব ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনা পৌঁছল সিঙ্গাপুরেও। সেখানে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে ভারত ও পাকিস্তানের দুই শীর্ষ সেনা কর্তা বাকযুদ্ধে জড়ালেন। ভারতের তরফে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘রেড লাইন’ জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (Anil Chauhan)। পাকিস্তানের (Pakistan) চেয়ারম্যান অফ দি জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটি জেনারেল শাহির শামসেদ মির্জাও (General Sahir Shamsad Mirza) কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সুর চড়ালেন। সমাধান না হলে খারাপ পরিণতি হবে বলে মন্তব্য তাঁর।
ওই অনুষ্ঠানে ভৌগলিক সীমানার নিরিখে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের কাছাকাছি বসতে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, শনিবার সেখানে ভারতের সিডিএস বলেন, অপারেশন সিন্দুরে ভারত রাজনৈতিকভাবে যেটা করেছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার একটি নতুন লাল রেখা এঁকেছে। পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিত টেনে এই মন্তব্য করেন সিডিএস অনিল চৌহান। তিনি আরও বলেন, দুদশকের বেশি ধরে সন্ত্রাসের এধরনের প্রক্সি যুদ্ধ হচ্ছে। অনেক প্রাণ গিয়েছে। আমরা এর শেষ করতে চাই। পাকিস্তানের জেনারেল (Pakistan General) শাহির শামসেদ মির্জা (Shahir Shamsad Mirza) কাশ্মীর (Kashmir) ইস্যু তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের (Conflict Resolution) কথা। শুধু ব্যবস্থাপনা (Management) করে রাখা নয়। তা না হলে এটা ভয়ানক দিক (Destructive Escalation) নিতে পারে। তবে এদিন পাকিস্তানের জেনারেলের একটি ইঙ্গিতপূর্ণ কথা থেকে নানা ব্যাখ্যা শুরু হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, যখন কোনও সঙ্কট থাকে না। কাশ্মীর নিয়ে কখনও আলোচনা হয় না। তবে কি পহেলগামে জঙ্গি হামলা কাশ্মীর বিতর্ককে উস্কে দেওয়ার জন্য, সেটা পাকিস্তান স্বীকার করে নিল? এই শাংরি লা ডায়লগ চলেছে ৩০ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত। যা ৪০টি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সামরিক প্রধানদের এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জামায়াতের আরও নিষেধাজ্ঞা উঠল, খুলল ভোটের দরজা
পহেলগামে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। জবাবে অপারেশন সিন্দুরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। পাকিস্তানের মাটিতে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর পাকিস্তান প্ররোচনা ছড়ায়। সীমান্তে নির্বিচারে গুলি চালায়। ড্রোন, মিসাইল হামলা করে। তা রুখে দেয় ভারত। পাকিস্তানের এয়ারবেসেও আঘাত করা হয়। ১০ মে পাকিস্তানের প্রস্তাবে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয় ভারত। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, অপারেশন সিন্দুর শেষ হয়নি এখনও। এবং আলোচনা হলে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর নিয়েই আলোচনা হবে।
দেখুন অন্য খবর: