ইসলামাবাদ: ইমরান খানের পর এবার তাঁর স্ত্রী বুশরা খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেন। সোমবার লাহোর হাইকোর্ট ২৩ মে পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। এদিন স্ত্রীর সঙ্গে আদালতে গিয়েছিলেন ইমরান (Imran Khan)। নিরপত্তারক্ষীরা সেখানে তাঁদের সাদা চাদর দিয়ে ঘিরে ফেলেন।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৯ মে গ্রেফতার (Arrested) হন। গত শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ ইমরান খানের দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালতে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন পান ইমরান। রামনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোয় মদত দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আদালতের বাইরে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে, তাতে তাঁকে অভিযুক্ত করে আরও দুটি মামলা ঝুলছে। গোরলা থানায় সেই দুটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন : Karnataka CM Siddaramaiah | কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবকুমার
ইমরান খান জামিন পাওয়ার পর লাহোরে (Lahore)নিজের বাসভবনে ফিরে একের পর এক ট্যুইট করে শেহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে। টুইটে ইমরান খান বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা চলছে। পাকিস্তানের সেনা বাহিনী চাইছে, আগামী ১০ বছরের জন্য তাঁকে জেলে ঢোকাতে। তাঁর বর্তমানে স্ত্রী বুশরা বিবিকেও কীভাবে জেলে ভরা যায়, সেই পরিকল্পনা করছে পাক সরকার এবং সেনা বাহিনী। বুশরা বিবিকে জেলে ঢুকিয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করার পরিকল্পনা করছে পাক সরকার। এমন দাবি করেন ইমরান খান।
উল্লেখ, বুশরা রিয়াজ ওয়াট্টোতে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি বিয়ের পর নাম পরিবর্তন করে খান রাখেন। ইমরান খান তাঁকে সাধারণত বুশরা বিবি বা বুশরা বেগম বলে ডাকেন। বুশরার প্রথম বিয়ে হয় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পাঞ্জাব পরিবারের কাস্টমস অফিসার খাওয়ার ফরিদ মানেকার সঙ্গে। সম্পর্কটি প্রায় ৩০ বছর স্থায়ী হয়েছিল। বুশরার প্রাক্তন স্বামী বলেন, ‘আমি বুশরা মতো ধার্মিক মহিলা খুব কমই দেখেছি।’