ওয়াশিংটন: আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে চীনকে কড়া বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ জানান, ভারত আর সেই ভারত নেই৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় বিশ্বে শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত৷ এরপরই নাম না করে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি কেউ আমাদের ক্ষতি করে আমরা তাদের ছেড়ে দেব না৷’ পাশাপাশি বিদেশনীতি নিয়ে আমেরিকাকেও একটি সূক্ষ বার্তা দেন রাজনাথ৷ বুঝিয়ে দেন, ভারত ‘জিরো সাম গেম’ কূটনীতিতে বিশ্বাসী নয়৷ অন্য দেশকে খাটো করে ভারত আরেকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার নীতিতে বিশ্বাসী নয়৷
ভারত-আমেরিকার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে গিয়েছেন রাজনাথ সিং৷ এদিন সান ফ্রান্সিসকোতে একটি সম্মেলনে অংশ নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ সেখানে তিনি ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ তখনই উঠে আসেন চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদ৷ রাজনাথ বলেন, ‘ভারতীয় সেনা কী করেছে এবং সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রকাশ্যে বলতে পারব না৷ কিন্তু এটুকু বলতে পারি একটা বার্তা পৌঁছেছে৷ তারা বুঝতে পেরেছে ভারতের ক্ষতি করলে ভারত বরদাস্ত করবে না৷’
ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত বিবাদ দীর্ঘদিনের৷ কিন্তু গালওয়ান সংঘর্ষের পর তা বেড়ে গিয়েছে৷ চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ হন ভারতের ২০ জওয়ান৷ চীনের বহু সেনাও প্রাণ হারায়৷ প্রকৃত সংখ্যা জানা না গেলেও বহুবার বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সংখ্যাটা ভারতের দ্বিগুণ৷ সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সেনাস্তরে ১৫ বার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে৷ সীমান্তে উত্তেজনা কমলেও মূল সমস্যা মেটেনি৷
ইউক্রেনে রুশ অভিযানের বিরোধিতা রাষ্ট্রপুঞ্জে করেনি ভারত৷ বারবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে দিল্লি৷ উপরন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে কাঁচা তেল কেনে ভারত৷ যা পছন্দ হয়নি আমেরিকার৷ ভারতের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টাও হয়৷ এ বিষয়ে রাজনাথ বলেন, ‘কোনও এক দেশের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক রয়েছে৷ কিন্তু তার মানে এই নয় আরেক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবে ভারত৷ ভারত কখনই এই ধরনের কূটনীতিতে বিশ্বাসী নয়৷ ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে বিশ্বাসী৷ যা দুটি দেশের কাছেই লাভজনক৷’