ওয়েব ডেস্ক: মহাকাশের গভীরে তারার জন্ম থেকে ভয়ঙ্কর সুন্দর নেবুলা, ব্ল্যাকহোল থেকে গ্রহের মৃত্যু- প্রকৃতির অদ্ভুত সব দৃশ্য আমাদের চাক্ষুষ করিয়েছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ (Hubble Space Telescope)। ৩৫ বছর ধরে মহাকাশের (Space) অন্দরে নজর রেখেছে নাসা-র (NASA) এই যান্ত্রিক চোখ। ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল মহাকাশে যাত্রা শুরু করেছিল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। গতকাল মহাশূন্যে ৩৫ বছর পার করেছে এই টেলিস্কোপ। আর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে মহাকাশের একাধিক চমকপ্রদ ছবি প্রকাশ করেছে হাবল।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপের প্রকাশিত নতুন ছবির মধ্যে অন্যতম হল ২০২৪ সালের মঙ্গল গ্রহের (Mars) একটি বিস্তৃত কম্পোজিট ছবি, যেটি ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর তোলা হয়। পৃথিবী থেকে প্রায় ৯.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকা মঙ্গলের এই ছবিতে দেখা গিয়েছে অতি সূক্ষ্ম জল-বরফের মেঘ, যা আল্ট্রাভায়োলেট আলোয় মধ্যে মঙ্গলকে এক রহস্যময় এবং হিমশীতল রূপে বিশ্ববাসীর সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: মহাকাশে মাত্র ১১ মিনিটের সফর, শুরু হল আমেরিকায়, খরচ কত?
হাবলের চোখে ধরা পড়েছে মহাশূন্যের আরেক বিস্ময়। এই ছবিতে দেখা গিয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় ৪,৫০০ আলোকবর্ষ দূরে, ভেলা নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত গ্রহীয় নীহারিকা ‘NGC 2899’-র অন্দরে একটি কুয়াশার মতো গ্যাসীয় প্রবাহ। এই নীহারিকার গঠন অত্যন্ত জটিল—একটি অর্ধেক খাওয়া বাদামের মতো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন রিং এবং তার চারপাশে গ্যাসীয় স্তম্ভের বনানী। সেখানে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্যাসের বিকিরণ থেকে সৃষ্টি হয়েছে নানান রঙ।
Today, @NASAHubble celebrates 35 years in orbit!
The historic mission, which relies on our Near Space Network to transmit data to Earth, has transformed our understanding of the universe and led to new discoveries. Learn more here: https://t.co/SrHLqKZXTx pic.twitter.com/d8vhDthRIa
— NASA Space Communications and Navigation (@NASASCaN) April 24, 2025
এছাড়াও হাবল প্রকাশিত ছবিতে ৫,২০০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা রোসেট নীহারিকার একটি অসাধারণ দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এখানে দেখা যায় ধুলোয় ভর্তি হাইড্রোজেন গ্যাসের কালো মেঘকে সরিয়ে দিচ্ছে নতুন এক নক্ষত্র থেকে বের হওয়া কিছু রংবেরংয়ের রশ্মি।
এসব দেখে একটা কথা পরিষ্কার, ৩৫ বছর পরেও হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ক্ষমতা এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব- কোনওটাই হারায়নি। বরং, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে হাবল এখনও নতুন গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি এবং নীহারিকা খুঁজে চলেছে।
দেখুন আরও খবর: