কলকাতা টিভি ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবান। সেই সঙ্গে দেশের দখল চলে গিয়েছে ওই কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীর দখলে। দুই দশক পরে প্রায় কোনওরকম রক্তক্ষয় ছাড়াই আফগানিস্তান দখল করল তালিবান। ৮০ হাজার জঙ্গির কাছে হার মানতে হল কাবুলিওয়ালার দেশের তিন লক্ষ সরকারি সৈন্যকে।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশারফ ঘানিকে আরব সরকার স্বাগত জানাল
এক প্রকার বিনাযুদ্ধে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। বাইডেনের সেনা প্রত্যাহার করে নিতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে তালিবান। কেন ফিরে এল তালিবান? বেশ কয়েকটি কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে এত দ্রুত এই বড় বদল ঘটবে তা প্রত্যাশিত ছিল না। এর পিছনেও রয়েছে নানান কারণ ব্যাখ্যা করেছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম।
আরও পড়ুন- আফগানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা নিবাসী ‘সীমান্ত গান্ধী’র নাতনি
অন্য়তম কারণ ধর্ম। কারণ আফগানিস্তানের জনগণ গণতন্ত্রকে মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় মৌলবাদ। পঞ্চাশ বছর আগেও আফগানিস্তান অনেক আধুনিক ছিল। কমিউনিস্ট সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় আফগানিস্তানে। যার জেরে গত শতকের শেষের দশকে ওই দেশের দখল নেয় তালিবান। ২০০১ সালে সেই দখলমুক্তি ঘটলেও যার স্থায়িত্ব রইল মাত্র দুই দশক।
আরও পড়ুন- হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, স্বরা ভাস্করের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা
আফগানিস্তানের তালিবান দখলের অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে ভয় এবং বিশ্বাস। নিজেদের মতাদর্শের বিরোধী দেখলেই তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তালিবান। যে কারণে প্রাণ বাঁচাতে অনেক অন্যায় মেনে নিতে বাধ্য হয় সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে বিশ্বাস বলতে ধর্মীয় বিশ্বাস। যা মারাত্মকভাবে রয়েছে তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে। তারা মনে করে যে মানুষকে হত্যা করা এবং ধর্মের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করা মহান পুণ্যের কাজ। যে কারণেই সম্ভবত তালিব যোদ্ধাদের মৃত্যু ভয় থাকে না।
এ ছাড়াও আরও একটি বড় কারণ রয়েছে তালিবানের আফগানিস্তান দখলের। তা হল আফগান প্রশাসনের অভ্যন্তরে চলতে আর্থিক দুর্নীতি। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধ। যার কারণে সরকারের প্রতি দেশের একাংশের মানুষের বিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। তাদের অনেকেই তালিবানের সমর্থনে কাজ করতে শুরু করে। যে কারণেই প্রায় বিনাযুদ্ধেই তালিবানেরা আফগানিস্তান দখল করতে পারল।