ওয়েবডেস্ক: ভারতের উপর পাল্টা শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। তখনও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বন্ধু বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর স্বেচ্ছাচারে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে একটি হল, বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনের মাঝ পথেই ভিসা বাতিল। একটি নির্ভরযোগ্য সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি আমেরিকা ভিসা বাতিল হওয়া পড়ুয়াদের অর্ধেকই ভারতের! এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আমাদের দূতাবাস ও কনসুলেটগুলি ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।
সামনে এল আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের সমীক্ষার রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩২৭ জন পড়ুয়ার ভিসা বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ভারতীয় ছাত্র ছাত্রীর। তার মধ্যে ১৪ শতাংশ চীনের পড়ুয়া। ভিসা বাতিল হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদেরও।
আরও পড়ুন: গীতা ও ভরতের নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর ওয়র্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত
নভেম্বরে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন। তারপরে গত চার মাস ধরে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের তথ্য স্ক্রিনিং করে দেখছেন। তাঁদের আচরণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দাবি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে তাঁদের এই স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। যাতে যাচ্ছেতাইভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। মার্চেই বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ঘোষণা করেন ক্যাচ অ্যান্ড রিভোক প্রোগ্রাম। যাঁদের আচরণ আমেরিকা বিরোধী মনে হবে তাঁরা টার্গেট। প্যালেস্তাইন বা হামাসের সমর্থক রয়েছেন কি না খুঁজে দেখা হচ্ছে।
ওই ৩২৭ জন ভিসাধারীদের মধ্যে অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং বা ওপিটি রয়েছে। এফ১ ভিসা ধারীদের ওপিটি থাকলে তাঁরা ১ বছর পর্যন্ত আমেরিকায় কাজ করতে পারেন। ভিসা প্রত্যাহার করায় তাঁরা এখন আর কাজ করতে পারবেন না।