ওয়েব ডেস্ক: বাবা ভাঙ্গা বা নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ব্যাপকভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Natural Calamity) সম্মুখীন হবে বিশ্ববাসী। আদতে ঘটছে তেমনটাই। ভূমিকম্প, বন্যায় ইতিমধ্যে একাধিক দেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আর এবার প্রকৃতির ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পেল না সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland)। ‘ইউরোপের প্লে-গ্রাউন্ড’ নামে পরিচিত এই দেশ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তবে এবার ছবির মতো সুন্দর এই দেশে নেমে এল হিমবাহ ধস (Glacier Damage)।
সূত্রের খবর, গত মাসে সুইৎজারল্যান্ডের বিখ্যাত বার্চ হিমবাহ ধসের (Birch Glacier Damage) ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে ব্লাটেন প্রদেশ। মঙ্গলবার সুইস ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (Swiss Insurance Association) জানিয়েছে, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সুইস কোষাগার।
আরও পড়ুন: খাবার বিলির লাইনে বোমা ফেলল ইজরায়েল, গাজায় ফের মৃত্যুমিছিল
তবে এই প্রথম নয়, ২০২৫ সালে একাধিকবার এরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে সুইৎজারল্যান্ড। সুইস ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশে বিপর্যয়জনিত ক্ষয়ক্ষতির হার ছিল অনেকটাই বেশি। গত তিন সপ্তাহ আগে লয়চেনটাল উপত্যকার বার্চ হিমবাহ ধসে পড়ে। এতে বিপুল পরিমাণে বরফ ও শিলা ধসে গ্রামের উপর নেমে আসে। এর জেরে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় একাধিক গ্রাম। যদিও এই ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি।
শুধু তাই নয়, এই হিমবাহ ধসের ফলে লোনজা নদীর উপর যে বিপুল পরিমাণ মাটি ও পাথর নেমে এসেছে, তা থেকে একটি প্রাকৃতিক বাঁধ তৈরি হয়েছে। তার জেরে একটি কৃত্রিম হ্রদও সৃষ্টি হয়েছে। এই হ্রদে ব্লাটেন প্রদেশের জনবসতিপূর্ণ এলাকার একটা বড় অংশ সম্পূর্ণভাবে জলের তলায় চলে গিয়েছে।
অর্থাৎ, ইউরোপের একটা বড় এলাকায় প্রাকৃতিক গঠন এবং জলবায়ুতেও পরিবর্তন (Climate Change) এসেছে। যে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবিদরা, তার প্রভাব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকেই। ২০২৫-এ ঘটা একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
দেখুন আরও খবর: