কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন এবং ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার দখল অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জি-৭ এবং তার সহযোগী দেশগুলি। ওই অঞ্চলে চিনা সামরিক বাহিনীর তৎপরতা কীভাবে রুখে দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভারত, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন শক্তিধর দেশ আলোচনা শুরু করেছে। জি-৭ তাদের পাশে আছে বলে জানিয়েছে। গত দুদিন ধরে জার্মানিতে জি-৭ সামিট চলছে। সেখানেই এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক সংহতির উপর আরও জোর দেওয়ার কথা জানাল জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত এবং তাদের অংশীদার দেশগুলি। এ ব্যাপারে তারা একটি আন্তর্জাতিক নির্দেশিকাও প্রস্তুত করতে চায়। তাতে শান্তিরক্ষা, মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রভৃতি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখা থাকবে। এক যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ গোষ্ঠী প্রতিটি দেশের আইন এবং বিধি মেনে চলার ব্যাপারে একমত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে পৃথিবীব্যাপী যে সংকট ঘনীভূত হয়েছে, তা নিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন। ওই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে জি-৭ গোষ্ঠী এবং তার সহযোগী দেশগুলি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, কানাডা, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ। বলা হয়েছে, ২০২১ সালের কার্বিস বে ওপেন সোসাইটির ঘোষণার প্রতি তারা দায়বদ্ধ। সারা বিশ্বে যে ভৌগোলিক এবং নাটকীয় পট পরিবর্তন হয়ে চলেছে, সে ব্যাপারে সকলেই সচেতন।
আরও পড়ুন: Maharashtra Political Crisis: শিবসেনার কিছু বিদ্রোহী নেতা যোগাযোগ রাখছেন, দাবি সঞ্জয় রাউতের
ওই দেশগুলি আরও বলেছে, বিশ্বশান্তি, লিঙ্গবৈষম্য, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এইসব বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যদি সবাই উদ্যোগ নেয় তাহলে গোটা বিশ্বের মঙ্গল হবে।