ওয়েবডেস্ক-শতাব্দীতে প্রথম, আমেরিকার (America) ক্রেডিট রেটিং (Credit rating) কমিয়ে দিল মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ (Rating Agency Moody’s) । মার্কিন সরকারের ঋণ এতটাই বেড়েছে যে, সরকার নতুন ঋণ নিলে শোধ করতে পারবে কি, এই প্রশ্ন সামনে চলে আসছে।
ইতিমধ্যেই আমেরিকার ঋণ প্রায় ৪০ লক্ষ কোটি ডলার, সরকার চালাতে অবিলম্বে আরও আড়াই লক্ষ কোটি ডলার ঋণ নিতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে বাড়তি অনিশ্চয়তার আবহে মার্কিন বন্ড বেচে দেওয়ার ধুম চলছে। ক্রেডিট রেটিং কমে যাওয়ায় নতুন বন্ড ইস্যু করে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে জটিলতা দেখা দিল ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি কি এবার মন্দার পথে?
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কর ও ব্যয় কমানো ইস্যুতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কর্মকাণ্ডে অর্থনীতিতে ব্যাপক চাপ পড়েছে। এই পরিস্থিতির আবহে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির ঋণ তিন লক্ষ ৬০ হাজার লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় মার্কিন মার্কিন রেটিং এজেন্সি মুডিজ আমেরিকার সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছে।
আরও পড়ুন-গভীর সঙ্কটে মার্কিন অর্থনীতি, দেখুন বড় খবর
প্রসঙ্গত, ১৯১৯ সালে প্রথমবারের মতো আমেরিকা রেটিং দিয়েছিল মুডি’জ। সেই সময় আমেরিকাকে ‘এএএ’ রেটিং দিয়েছিল সংস্থাটি। তবে সব শেষ তিনবারের রেটিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং কমিয়েছে তারা। শুক্রবার রেটিং কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এএ১’ দিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।
বিবৃতি দিয়ে মার্কিন সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজস্ব ঘাটতি ও ক্রমশ বাড়তে থাকা সুদের ব্যয় নিয়ে মার্কিন প্রশাসন ও কংগ্রেস ঐক্যমতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে।
মুডিজের সিদ্ধান্তের পরেই হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ ডিরেক্টর স্টিভেন চেউঞ্জ সোশ্যাল মিডিয়ায়, আমেরিকা রেটিং সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্দির সমালোচনা করেছেন। জান্দিকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক বিরোধী আখ্যা দিয়েছেন তিনি। চেউঞ্জ বলেছেন, জান্দির মতামতকে কেউ গুরুত্ব দেয় না, সব সময় ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিষয়ে অবশ্য জান্দির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে মুডি’জ- আমেরিকার কিছু শক্তিশালী দিকও তুলে ধরেছেন। বিশাল ও স্থিতিশীল অর্থনীতি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের আধিপত্য দেশটি জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পর অর্থমন্ত্রী স্কট বাসেন্টের দাবি, ‘বর্তমান প্রশাসনের লক্ষ্য মার্কিন সরকারের তহবিল ব্যয় কমানো।’ কিন্তু প্রশাসনের এই লক্ষ্য বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারছে না।
দেখুন ভিডিও-