কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধের আবহে আন্তর্জাতিক বাজারে মুখ পুড়ল রাশিয়ার। ঋণ ফেরতের ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও অর্থ জমা করতে পারল না পুতিনের দেশ। রাশিয়ার অর্থনৈতিক ইতিহাসে এ ঘটনা প্রায় নজিরবিহীন। ১৯১৮ সালের পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ঋণখেলাপী তালিকায় উঠে পড়ল রাশিয়ার নাম।
রবিবারের মধ্যে ঋণ ফেরতের কথা ছিল। ইউক্রেন অভিযানের পর থেকেই আন্তর্জাতিক স্তরে একের পর এক অর্থনৈতিক অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক ঋণ ফেরতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পেমেন্ট গেটওয়েগুলিও এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। ঋণ ফেরত দিতে গিয়ে তাই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় রাশিয়াকে।
ক্রেমলিন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঋণখেলাপীর তকমা এড়াতে চেয়েছিল। কেননা আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়ার ভাবমূর্তি প্রবল ভাবে ধাক্কা খাবে এই ঘটনায়। রবিবার ২৭ জুনের মধ্যে ঋণের সুদ সমেত ১০০ মিলিয়ন ডলার (টাকার অংকে ৭৯০ কোটির কাছাকাছি) ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। রাশিয়া ইউরোক্লিয়ার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ওই অর্থ ফেরত দিতে চেষ্টা করে। ব্যাঙ্কের ঘরে অর্থ পৌঁছলেও ঋণদাতাদের কাছে তা পৌঁছয়নি। এরইমধ্যে ডেডলাইন পেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন Presidential Polls: ছক্কা হাঁকালেন মমতা, যশবন্তের প্রচার শুরু সিপিএমের কেরল থেকে
রাশিয়ার অর্থ কি ব্যাঙ্কের আমানতে ব্লক হয়ে গিয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য ইউরোক্লিয়ার দেয়নি। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন অভিযানের পর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা। ইউরোক্লিয়ার ওই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে।
আরও পড়ুন Sania Mirza: ইউএস ওপেন খেলেই অবসর নিতে চলেছেন ভারতের টেনিস কুইন
যদিও এ ধরনের ঋণখেলাপীর ঘটনা প্রতিকী মাত্র। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে রাশিয়ার উপর এর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। কেননা একবার ঋণখেলাপী হলে নতুন করে ঋণ পেতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় দেশগুলিকে।