কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইংল্যান্ডে (England) মাস্ক পরা (Face mask) আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। তুলে দেওয়া হচ্ছে করোনা সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধের (COVID-19 measures) বেশ কিছু ধারাও। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ব্রিটেনে এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (British Prime Minister Boris Johnson ) বুধবার জানান, দেশে করোনার প্রভাব প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। প্ল্যান বি-এর মেয়াদ সরকারি ভাবে শেষ হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি। বাড়ি থেকে কাজ করার ক্ষেত্রেও এবার ইতি টানতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার। কর্মচারীদের অফিসে যাতায়াতের বিষয়টি নিয়োগ কর্তাদের বিবেচনার মধ্যে রাখতে বলা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সরকার মনে করছে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে শিখরে উঠে এবার দ্রুত নামতে চলছে। এই অবস্থায় দেশবাসী এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতি অনেক টাই স্বাভাবিক বলেই দাবি করছেন। তারাও বিধিনিষেধ শিথিল করার পক্ষে। বিজ্ঞানীদের সুপারিশ মতোই বিধিনিষেধে অনেক টাই ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাস্ক পরার ক্ষেত্রে আমজনতাকে আর জোরাজুরি করা হবে না। কাউকে মাস্ক পরতে বাধ্যও করা হবে না। বড় ধরনের জমায়েতে যোগ দিতে হলে এতদিন ব্রিটেনে জোড়া টিকার সার্টিফিকেট দেখাতে হত। ২৭ জানুয়ারি থেকে তাও দেখতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক না থাকলেও বড় জমায়েত, বদ্ধ জায়গায় অনেকক্ষণ থাকা কিংবা অচেনা মানুষের কাছাকাছি আসার ক্ষেত্রে মাস্ক পরে থাকাটাই বিচক্ষণতার কাজ হবে। বিষয়টি আমি সাধারণ মানুষের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি।
এই সব ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হলেও করোনা পজেটিভদের নিভৃতবাসের মেয়াদ ২৪ মার্চ পর্যন্তই বহাল থাকছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তবে, ব্রিটিশ স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র বলছে নিভৃত বাসের মেয়াদ ৫ দিন থেকে আরও কমিয়ে এবার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে।
আরও পড়ুন- British PM Lockdown Party: প্রধানমন্ত্রীর বাগান-পার্টি নিয়ে উথালপাথাল ব্রিটেন
ব্রিটেনে বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৬৯ এ। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থার মুখ্য উপদেষ্টা সুসান হপকিন্স জানান, এই সংখ্যা দ্রুত আরও কমবে বলে আশা করা যায়। তবে, ক্ষেত্র বিশেষে আক্রান্তের সংখ্যা কিছু বাড়তেও পারে। অচেনা অজানা মানুষের সংস্পর্শে এলে যত বেশি মানুষ মাস্ক পরবে, তত তাড়াতাড়ি সংক্রমণের হার কমবে। হাসপাতালগুলিতে ও রোগী ভর্তির হার ব্রিটেনে দ্রুত কমছে। ওমিক্রণের দাপটে এবার আর গত বছরের মত করোনা রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।
সব মিলিয়ে আগামী সপ্তাহেই ছন্দে ফিরতে চলেছে ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন।