ইজিপ্ট: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সহপাঠিনীকে ছুরির আঘাতে নৃশংসভাবে খুন করায় দোষী সাব্যস্ত হয় মহম্মদ আদিল। সে এবং নায়েরা আস্রফ নামে ওই সহপাঠিনী উত্তর ইজিপ্টের মনসুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। গত ২৮ জুন মনসুরা আদালত আদিলের ফাঁসির আদেশ দেয়। আদালত ইজিপ্টের সংসদকে নির্দেশ দিয়েছে, সেই ফাঁসির দৃশ্য দূরদর্শনে লাইভ সম্প্রচার করতে হবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, তার এই লাইভ সম্প্রচারের নির্দেশ। আদালত আরও বলেছে, গোটা প্রক্রিয়া কার্যকর করার একটা অংশও দেখালেও কাজ হবে। মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা সম্প্রচার হওয়ায় জনমানসে তেমন কোনও প্রভাব ফেলেনি।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক বাইরেই নায়েরাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে আদিল। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় আদিল। তার ফাঁসির আদেশ হয়। ২৪ জুলাই সরকারিভাবে ফাঁসির আদেশের কথা ঘোষণা করা হয়। আদিলের আইনজীবীরা অবশ্য এখনও মৃত্যুদণ্ড রদ করার আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এক আইনজীবী হরিদ এল দিব বলেন, আমরা মৃত্যদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করব। এখনও আমাদের হাতে ৬০ দিন সময় আছে।
আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury: রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর
ইজিপ্টের স্থানীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যস্ত রাস্তায় তরুণী আস্রফের নৃশংস মৃত্যু ভিডিয়ো লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। সোশাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যায়। ইজিপ্টে সম্প্রতি এ ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক হিংসার ঘটনা খুব বেড়ে গিয়েছে। গত বছরই এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইজিপ্টের পুলিস যৌন এবং লিঙ্গ ভিত্তিক হিমসার ক্ষেত্রে যথাযত তদন্ত করে না। এমনকী আদালতও এ ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি দেয় না। ১৯৯৮ সালে কায়রোতে এক মহিলা এবং তাঁর দুই শিশু সন্তানকে খুন করার জন্য তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তখন দেশবাসী সরকারি দূরদর্শনের মাধ্যেমে সেই ফাঁসির লাইভ সম্প্রচার দেখেছিল।