ওয়েব ডেস্ক: ইরানের (Iran) উপর ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ (Operation Rising Lion) শুরু করেছে ইজরায়েল (Israel)। শুক্রবার সকাল থেকেই তেহরান সহ একাধিক এলাকায় আকাশপথে হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর সেনা। ইজরায়েলের এই হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে এক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—এই হামলার নেপথ্যে কি আমেরিকার (USA) প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে? যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। কিন্তু সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) যে মন্তব্য করেছেন, তাতে ইজরায়েলি হামলার নেপথ্যে আমেরিকার হাত থাকার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নিজের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেন। তাতে তিনি লেখেন, “পরমাণু চুক্তি মেনে নেওয়ার জন্য ইরানকে একের পর এক সুযোগ দিয়েছি। আমি ওদের কড়া ভাষায় জানিয়েছিলাম, এই চুক্তি মানতে হবে। ইরান হয়তো চেষ্টা করেছিল, হয়তো মেনেও নিয়েছিল কিছুটা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সেটা করেনি। আমি তখনই বলেছিলাম, ওরা যা ভাবছে, তার থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু হতে চলেছে।”
আরও পড়ুন: ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইজরায়েলের! আকাশপথে শুরু হামলা
এই বক্তব্যকে অনেকেই ইরানের উপর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখছেন। কারণ এই পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লেখেন, “ইতিমধ্যে অনেক কিছু ধ্বংস হয়েছে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবু এখনও সময় আছে বিরোধ থামানোর। না হলে ফের হামলা হবে, আরও ভয়ঙ্কর হবে। ইরান যদি এখনই সমঝোতায় না আসে, তবে তাদের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। এটাই ইরানীয় সাম্রাজ্যকে রক্ষা করার শেষ সুযোগ। খুব দেরি হওয়ার আগে চুক্তি মেনে নিন।”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের জেরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—এই হামলা কি নিছকই ইজরায়েলের একতরফা সিদ্ধান্ত ছিল? না কি এর পিছনে রয়েছে মার্কিন সমর্থন ও সামরিক সহায়তা? ট্রাম্পের আরেকটি মন্তব্য সেই সন্দেহকেই জোরালো করেছে। তিনি লেখেন, “আমেরিকার সেরা অস্ত্র এখন ইজরায়েলের হাতে রয়েছে। ওরা জানে কীভাবে তা ব্যবহার করতে হয়। ইরানের অনেক কট্টরপন্থী নেতাই বড় বড় কথা বলেছিলেন, কিন্তু এখন তারা কেউ আর বেঁচে নেই। এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে।”
দেখুন আরও খবর: