ওয়েব ডেস্ক: টেসলা কর্তা ইলন মাস্ককে (Elon Musk) ফের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald trump)। আমেরিকা থেকে মাস্কের ব্যবসা বন্ধের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে (Truth Social) তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে মাস্কের উদ্দেশে লিখেছেন, সরকার থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছেন টেসলা (Tesla) কর্তা। তা না পেলে হয়তো ব্যবসা বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হত মাস্ককে।
মূলত বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে একদা দুই বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়েও ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প (Trump) লিখেছেন, “ইলন মাস্ক জানতেন, আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তার দৃঢ় সমর্থন পাওয়ার আগে থেকেই ইলেকট্রিক ভেহিকল (EV) ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলাম। বৈদ্যুতিন গাড়ি ভালো, তবে সবাইকে এগুলি কিনতে বাধ্য করা উচিত নয়।” তিনি আরও লিখেছেন, মাস্কের কোম্পানিকে অনেক ভরতুকি দেওয়া হয়ে থাকে। এর পরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সেই ভরতুকি যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে কী হবে!
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে জ্বলছে ইউরোপ! কেন এভাবে আবহাওয়ার চরিত্র বদলাচ্ছে?
মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল জুন মাসের শুরু থেকে। সেই সেময় ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এর তীব্র নিন্দা করেছিলেন ইলন মাস্ক। কারণ, ওই বিলে প্রচুর ব্যয়বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের কথা বলা হয়েছিল। যেখানে বৈদ্যুতিক গাড়ির ঋণেও ছাঁটাইয়ের চিন্তাভাবনা ছিল। যার ফলে প্রভাব পড়ত মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবসায়। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন টেসলা কর্তা। এর পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে মাস্ক লিখেছিলেন, এই বিলটি যদি পাশ হয় তাহলে পরের দিনই গঠিত হবে ‘আমেরিকা পার্টি’। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা মাস্ককে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ইলন মাস্ককে (Elon Musk) ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সির (DOGE) প্রধানের পদে নিযুক্ত করেছিলেন ট্রাম্প। তবে মাস্ক ও ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মনোমালিন্যের জেরে DOGE পদ থেকে সরে যান টেসলা কর্তা। তবে তার পরেও তাঁদের মধ্যে বাকযুদ্ধ থামেনি। এসবের মাঝে ইলন মাস্ককে ভরতুকি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
দেখুন অন্য খবর: