ওয়েব ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্র (Iran Nuclear Sites) মার্কিন হামলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘দাবি’ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওই পরমাণবিক কেন্দ্রগুলি (Iran Damage Nuclear Sites)। হামলার পর থেকে যে সব প্রাথমিক রিপোর্ট এবং উপগ্রহচিত্র প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল, তাতে দানা বাঁধছিল বিভ্রান্তিও। মিথ্যা বলেছিলেন, ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির।
যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ে সংশয়ের কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেবল কয়েক মাস পিছিয়ে গিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এ বিষয়ে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্য সুনির্দিষ্ট ছিল না। গোয়েন্দারা বলেছে, আমরা জানি না। ক্ষয়ক্ষতি খুব গুরুতর হতে পারে। গোয়েন্দা তথ্যে এমনটাই বলা হয়েছে।
গত রবিবার ইরানের ৩ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। তারপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে যুদ্ধপরিস্থিতি। একাধিক দেশের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে পালটা হামলা চালায় ইরানও। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির পথে হেঁটেছে সবপক্ষ। মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেই এতদিন দাবি করে এসেছে সেদেশের প্রশাসন। বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে স্যাটেলাইট ইমেজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে বড়বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। ভেঙেচুরে গিয়েছে গবেষণা কেন্দ্রের একাধিক ভবনও।ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে শেষ হাসি হেসেছে ইরান! বিরাট দাবি খামেনির
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকার হামলায় দু’টি পরমাণুকেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ভূগর্ভস্থ ভবনগুলিকে ধ্বংস করা যায়নি। ফলে ইরানের পরমাণু কর্মকাণ্ড কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে মাত্র। খুব বিশেষ ক্ষতি হয়নি। এদিকে মার্কিন হামলার আগেই অন্তত ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলে ইরান। যা দিয়ে তৈরি হতে পারে ১০টি পরমাণু বোমা। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন ওঠে ট্রাম্পের দাবি নিয়ে।
সোশাল মিডিয়ায় তোপ দেগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস শুধু মিথ্যা ছড়াচ্ছে না। এই ধরনের প্রতিবেদন দেশকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র। এই দুই সংবাদমাধ্যম মিলিতভাবে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল সামরিক অভিযানকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। ইরানের পরমাণু ঘাঁটি পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে।’ এই হামলার পর মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, হামলার পেন্টাগনের তরফে একাধিক ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই স্পষ্ট যে ফরদোতে হামলা চালানো হলেও তাতে বিশেষ ক্ষতি হয়নি।
দেখুন ভিডিও