ওয়েব ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দাবি করেছিলেন যে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামানোর জন্য তাঁকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার (Nobel Peace Award) দেওয়া উচিত। তাঁর এই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছিল পাকিস্তানও। কিন্তু তার একদিন পরেই ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। তারপর থেকে ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের দাবি নিয়ে শুরু উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। কিন্তু এবার বাস্তবেই বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতি, ফক্স নিউজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতি (Israel-Iran Ceasefire) কার্যকর করতে তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্যই এই মনোনয়ন বলে দাবি করেছে এই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সংস্থা। সূত্রের খবর, মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি বাডি কার্টার ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বিরতি চলছে দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না, ঘেমেনেয়ে ল্যাজেগোবরে ট্রাম্প
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের এই প্রতিনিধি নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, মধ্যপ্রাচ্য যখন সংঘাতের আগুনে জ্বলছিল, তখন ট্রাম্পের নেতৃত্বেই শেষ হয় তথাকথিত ১২ দিনের যুদ্ধ। চিঠিতে কার্টার আরও লেখেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত বন্ধ হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসের মদতদাতা দেশকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র অর্জন করতে বাধা দেওয়া গিয়েছে। এখানে তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “তোমরা আমাকে শান্তির নোবেল দাও। শান্তির পুরস্কার কেবল উদারপন্থীদেরই দেওয়া হয়। আমি ভারত-পাকিস্তান নিয়ে খুব ভালো কাজ করেছি। ভবিষ্যতে দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিও করব। খুব সুন্দর সবকিছু হবে, দেখার মতো।”
দেখুন আরও খবর: