মায়ানমার: ভয়ঙ্কর রূপে তাণ্ডব চালাচ্ছে ‘মোকা’ (Mocha), ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটায় মায়ানমারে (Myanmar) মৃত্যু তিন জনের। প্রবল গতি নিয়ে মায়ানমারের সিতওয়া উপকূলে আছড়ে পড়েছে সুপার সাইক্লোন (Cyclone) ‘মোকা’। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ শুরু হয়েছে এই সুপার সাইক্লোনের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। ল্যান্ডফলের সময় মোকার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। মায়ানমারের সামরিক তথ্য দফতরের তরফে জানিয়েছে, ঝড়ে সিতওয়া, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে বাড়িঘর, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল ফোন টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কোকো দ্বীপপুঞ্জের ক্রীড়া ভবনগুলোর ছাদও ভেঙে পড়েছে। বাড়ির ছাদ ভেঙে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিশেষত, কক্সবাজারে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বাংলাদেশেও প্রবল জোরে হাওয়া বইছে। প্রবল বৃষ্টিও শুরু হয়েছে একাধিক জায়গায়। কক্সবাজারে রাস্তাঘাট জনশূন্য। মোকার জেরে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়ার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২ ঘণ্টায় ঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন:Indian Destination । দেশেই রয়েছে এক চিলতে বিদেশ, ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই ঘুরে আসুন
মোকার প্রভাব পড়তে পারে সীমান্তের এপারেও। মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মণিপুর ও দক্ষিণ অসমের বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল মৌসম ভবন। ক্ষতি হতে পারে মাঠের ফসলেরও। এদিকে কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে মৌসম ভবন। সতর্কতাও জারি করা হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মোকার প্রভাব রাজ্যে সরাসরি না পড়লেও সমুদ্র উত্তাল হবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে দিঘা, সর্বত্রই মাঠে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে সতর্কতা মূলক প্রচার।