কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রখ্যাত ব্রিটিশ-আমেরিকান চিত্র পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের ৪টি অ্যাকাডেমি পুরস্কার জয়ী ছবি ‘ইনসেপশন’এর একটি হাতে আঁকা প্লট-ম্যাপ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। লেখক জুলিয়ান শ্যাপিরো এই প্লট-ম্যাপটি তাঁর ব্যক্তিগত টুইটারে পোস্ট করেন সম্প্রতি। তার পরপরই সেটি নেট দুনিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রিস্টোফারের নিজের হাতে আঁকা এই প্লট-ম্যাপের ছবিটি শ্যাপিরো নিয়েছেন টম শোনের লেখা বই ‘দ্য নোলান ভ্যারিয়েশন: দ্য মুভিজ, মিস্ট্রিজ অ্যান্ড মার্ভেলস অফ ক্রিস্টোফার নোলান’ থেকে। টুইট দুনিয়ায় এই হাতে আঁকা প্লটটি আসতেই সেটায় ১৬ হাজার লাইক পড়েছে এবং ২৫০০ বার রিটুইট হয়েছে। এই প্লট-ম্যাপে সিনেমার দৃশ্য কল্পনাসহ নোলানের লেখা কিছু নোটও আছে, যা তাঁর ছবির ভক্তদের আকৃষ্ট করেছে।
সিনেমা-পোকাদের কাছে ক্রিস্টোফার নোলান হলেন কল্পবিজ্ঞান, থ্রিলার, গ্রাফিক্স ও নেপথ্য সুরের জাদুকর। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ইনসেপশন ছবিটিও সে বছর চতুর্থ সবথেকে বেশি ডলার আমদানি করেছিল। তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী এমা থমসনের প্রযোজনায় ছবিটি তৈরি করতে খরচ পড়েছিল ১৬ কোটি ডলার। আর ছবিটি বিশ্ববাজারে আয় করেছিল ৮৩ কোটি ৬৮ লক্ষ ডলার। আর জনপ্রিয়তার মূল কারণই ছিল এই ছবিটি চিরাচরিত প্রথার প্লটের গতে বাঁধা নয়। সাধারণত যে ছকে ছবি তৈরি হয়, তার বাইরে গিয়ে বরং উল্টো ধারার ছবি ইনসেপশন পালটে দেয় হলিউডি ধারাকে। ব্যাটম্যান বিগনস এবং ডার্ক নাইটের সাফল্যের মাঝেই এই ছবির পরিকল্পনা তৈরি করতে ১০ বছর সময় লেগেছে ক্রিস্টোফারের।
আরও পড়ুন: 200 Crore Vaccinations: করোনার টিকাকরণে ২০০ কোটির মাইলফলক ছুঁল ভারত, টুইটে শুভেচ্ছা মোদির
ছবিটি ডম কোব নামে এক সুদক্ষ চোরের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। এই চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন দ্য টাইটানিক খ্যাত লিওনার্দো দি’ক্যাপ্রিও। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা মিশেল কেন। ডম কোবের একটি বিশেষ ক্ষমতা ছিল, সে মানুষের মনের গভীরে ঢুকে অবচেতনে সে কী ভাবছে, তা বুঝতে পারত। এই পদ্ধতিতে সে একের পর এক অপরাধ চালাত। মানুষের কল্পনার জগতে ঢুকে তার কাছ থেকে সুকৌশলে সর্বস্ব হাতাত। এই কাজে সে একটি দলও গঠন করেছিল।
এইভাবে তার দক্ষতা দেখে এক বিলিয়নেয়ার তার দলকে ভাড়া করে, তারই এক প্রতিপক্ষকে বাগে আনতে। কিন্তু, এখানে কাজটা হবে উল্টো। কোব মানুষের স্বপ্নকে পড়তে পারত, তার অবচেতনের কথা জানতে পারত। কিন্তু, এখানে তার কাজটা হবে সেই কোটি কোটিপতির উত্তরাধিকারীর মনে সেই সাম্রাজ্যের মালিক হওয়ার স্বপ্ন গেঁথে দেওয়া। আর এই কাজেই দুই সমকক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ের মাঝে ফেঁসে যায় কোব। গল্প লেখার আগে সত্যিকারের কোবের সঙ্গেও দেখা করে কথা ও তার কাজের প্রণালী জেনে নিয়েছিলেন নোলান, এক সাক্ষাৎকারে সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন।