অবশেষে তিব্বত সফরে চিনা প্রেসিডেন্ট জাই জিংপিং। ২০১২ সালে চিনের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম তিব্বত সফর। শুধু তাই নয়, গত তিন দশক পর প্রথম চিনা প্রেসিডেন্ট পাশাপাশি কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবেও সফরে গেলেন তিনি।
চিনা সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া সূত্রে খবর, গত বুধবারই তিব্বতে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই খবর দুদিন চেপে রাখে চিনা প্রশাসন। তারপর আজ শুক্রবার হঠাত একটি ভিডিও প্রকাশ করা প্রশাসনের তরফে। সেখানে দেখা গিয়েছে, তিব্বতের মেনলিং বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামছেন জিংপিং। লাল কার্পেট বিছিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে স্থানীয়রা। তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন জিংপিং।
আরও পড়ুন: একটানা বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে ভূমিধস, মৃত কমপক্ষে ৩৬, উদ্ধারে হেলিকপ্টার
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী লাসায় যান প্রেসিডেন্ট। সেখানে সিচুয়ান থেকে তিব্বত রেল প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। চিনা প্রেসিডেন্টের এই আকস্মিক তিব্বত সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে বিতর্ক। শুধুমাত্র সৌজন্য সফর নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কূটনতিক অভিসন্ধি। তা নিয়েই চিন্তিত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল। যদিও এই প্রথম নয়, ১৯৯৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে তিব্বত সফরে এসেছিলেন জিংপিং। তারপরে ২০১১ সালেও হুজিতাওয়ের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে লাসায় আসেন তিনি। ১৯৯০ সালে তদকালীন চিনা প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন শেষবারের মতো তিব্বত সফরে আসেন। তাই এবারের চিনা প্রেসিডেন্টের তিব্বত সফরের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন: সিধুর শপথে হাজির অমরিন্দর, ঐক্যের বার্তা পঞ্জাব কংগ্রেসের
উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালে মাও জে তুংয়ের আমলে তিব্বতের দখল নেয় চিন। সেইসময় তিব্বত ছেড়ে ভারতে লুকিয়ে পালিয়ে আসেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা। ভারতে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। তারপর থেকেই তিব্বতকে কেন্দ্র করে ভারত-চিনের মধ্যে শুরু হয় রাজনৈতিক জটিলতা। দলাই লামা থেকে গালওয়ান সংঘাতের মধ্যে দিয়ে সেই ধারা আজও অব্যহত। এমন পরিস্থিতিতে চিনা প্রেসিডেন্টের তিব্বত সফরের দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লিও।