ওয়েবডেস্ক: জল টগবগ করে ফুটছে। রণংদেহী মেজাজ চড়ছে দুই অর্থনৈতিক জায়ান্টের। একজন ইট ছুড়লে অন্যজন পাটকেল ছুড়ছে। কেউ পিছোচ্ছে না। চীন (China) ও আমেরিকা (US) একে অপরের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেই চলেছে। আমেরিকার শুল্ক (Tariff) নীতির বিরুদ্ধে ইউরোপকে (Europe) কাছে টানতে শুক্রবারই বার্তা দিয়েছে চীন। তারপর এদনই আমেরিকার পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করল বেজিং। দুই দেশের দূরত্ব ৭ হাজার কিলোমিটারের। কিন্তু তাদের এই শুল্ক যুদ্ধে কাঁপছে বিশ্ব। আমেরিকা ইতিমধ্যে বাড়াতে বাড়াতে চীনের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে।
শুক্রবার চীন জানিয়েছে, তারা ৮৪ শতাংশ থেকে আমেরিকার উপর শুল্ক বাড়িয়ে করবে ১২৫ শতাংশ। তার কিছুক্ষণ আগেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে আর্জি জানিয়েছেন বেজিংয়ের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্যে। নতুন এই শুল্ক শনিবার থেকে লাগু হবে। চীনের অর্থমন্ত্রী বলেন, এরপর আমেরিকার পদক্ষেপকে উপেক্ষা করা হবে। বর্তমানে শুল্কের স্তরে আমেরিকার পণ্যের বাজারে গ্রহণযোগ্যতার কোনও সম্ভাবনা নেই। একইসঙ্গে বেজিং এদিন জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জেরে বিশ্ব বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার দায় নেওয়া উচিত আমেরিকার। চীনের চাপের জেরেই ট্রাম্প কিছু কিছু দেশ থেকে শুল্ক স্থগিত করেছে। এদিন বেজিংয়ে জিনপিং স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো স্যাঞ্চেজের সঙ্গে বৈঠক করেন। জিনপিং তাঁকে জানিয়েছেন, এই শুল্ক যুদ্ধে কেউ লাভবান হবে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই একচ্ছত্র হুঁশিয়ারির ঘটনায় ইউরোপের উচিত চীনের পাশে থাকা।
আরও পড়ুন: চরম শুল্কযুদ্ধে চীন ও আমেরিকা! বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কী?
দেখুন অন্য খবর: