অটোয়া: ১৯৭০। আর তার পর ২০২২। বাবার দেখানো পথে দীর্ঘ ৫২ বছর পর কানাডায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিসের হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্যই জরুরি অবস্থা। এবার থেকে বেআইনি কার্যকলাপ দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিস। আমরা অবৈধ এবং বিপজ্জনক কার্যকলাপ চলতে দেব না। প্রয়োজনে ট্রাক চালকদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।’
করোনা অতিমারি রুখতে ট্রুডো সরকার কানাডায় ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করেছে। আমেরিকা-কানাডা সীমান্তে ট্রাক চালকদের টিকাকরণের শংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। আরও কিছু নিয়ম চালু করা হয়। কোভিড বিধিনিষেধ তুলে দাবিতে জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ থেকে কানাডার রাজধানীতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ট্রাক চালকরা। ক্রমে বিক্ষোভ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষও।
পিকআপ ভ্যান, গাড়ি এবং বাণিজ্যিক ট্রাকের অবরোধের কারণে কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধও করে রাখেন। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর প্রতি। তারা ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। পরিস্থিতি সরকারের প্রায় হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। সেই কারণেই প্রতিবাদ আন্দোলনের মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি করল কানাডা সরকার।
আরও পড়ুন: Indian Family Dead in Canada: কানাডার ঠান্ডায় জমে মৃত্যু গুজরাতি পরিবারের, শনাক্ত করল সরকার
এর আগে ১৯৭০ সালে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়ের ট্রুডোও জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকরা রাজধানী অটোয়ার রাস্তা অচল করে দিনরাত হর্ন এবং সাইরেন বাজিয়ে চলেছেন। ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের এই বিক্ষোভ মোকাবিলায় করাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্রুডোর কাছে। জরুরি অবস্থার সপক্ষে ট্রুডোর যুক্তি, ‘মানুষের নিরাপত্তা, পেশা-সুরক্ষা এবং দেশের প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্যই জরুরি অবস্থা।’