গ্লাসগো : গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেখানে তিনি বলেন, বিশ্বের উষ্ণতা রোধের জন্য যা যা করণীয় তা তাঁরা করেছেন। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। বিশ্ব উষ্ণায়ণ রোধের জন্য তাদের এখনও অনেক কাজ করা বাকি আছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের COP 26 সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, আমরা বলটিকে পিচের নিচে অনেকদূর নিয়ে গিয়েছি কিন্তু সেটি কিছুটা ঘুর্ণয়মান চক্রের মধ্যেই আটকে গেছে। গ্লাসগোতে হওয়া ২ সপ্তাহের এই জলবায়ু সম্মেলনের শেষ ঘন্টায় বরিস জনসন নিজের বক্তৃতায় জানান ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলি থেকে কি ভাবে আরও কম পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলি বিশ্বের উষ্ণায়নের ১.৫ লক্ষ্য সীমা রেখেছিল। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বলা হয়েছিল, বিশ্ব উষ্ণায়ণের পরিমাণ ২.০ সেলসিয়াস থেকে ১.৫ সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এর প্রেক্ষতে জনসন বলেছেন যে, প্যারিসের সেই চুক্তির সম্মেলনে যে দেশগুলি স্বাক্ষর করেছিল তাদের এই চুক্তির কথা মনে রাখা দরকার। বরিস জনসন আরও জানান, চুক্তিতে যা বলা হয়েছিল, বাস্তবে তা হয়নি। কিন্তু পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে দেশগুলি আরও অর্থ দাবি করে চলেছে যা খুবই হতাশাজনক। এই বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলি। তাদের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই রাষ্ট্র নেতাদের কোনও অজুহাতই আর মানা সম্ভব হচ্ছে না। পৃথিবীর এই জলবায়ু পরিবর্তন সাংঘাতিক সমাপ্তির সংকেত দিচ্ছে বলে মনে করেন বরিস জনসন। দেশের রাষ্ট্র নেতারা কি তাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই রকম দূষিত পরিবেশ রেখে যাবে, জানতে চেয়েছেন তিনি। জনসন আরও বলেন, “পরিস্থিতি এখনও আমাদের হাতের মধ্যে রয়েছে। তাই আমরা যদি সচেতন হই, তাহলে লক্ষ্যমাত্রায় ঠিকই পৌঁছতে পারব।” বক্তৃতার শেষ লগ্নে এসে তিনি বলেন, “আমার সহকর্মী বিশ্ব নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমরা কি এই ধ্বংস হওয়ার দিকে এগোবো, না এর থেকে ঘুরে দাঁড়াবো ?”