কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই৷ ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার পারদের মধ্যে এই বার্তাই দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তাঁর মতে, মনুষ্য জীবনের মূল্য আগে বুঝুক সবাই৷ যুদ্ধ হলে দুই পক্ষের মানুষই মারা যাবে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, শান্তিপূর্ণ পথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত মস্কোর৷
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি৷ সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় বরিস জনসনের৷ দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও হয়৷ এরপর মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের মঞ্চ থেকে ক্রেমলিনকে আরও একবার সতর্ক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ পরে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি জানান, ডনবাস এলাকায় রুশ আগ্রাসনের সময় থেকে ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা করে পুতিন৷ যুদ্ধের জন্য রাশিয়া যে পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েছে এমন যুদ্ধের প্রস্তুতি গত ৮০ বছরে দেখা যায়নি৷ রাশিয়া ইউক্রেন দখলে অগ্রসর হলে ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবথেকে বড় যুদ্ধের সাক্ষী হব আমরা৷ পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ তিনদিক দিয়ে কিইভকে ঘিরে ফেলা হয়েছে৷
অন্যদিকে ‘দ্য মেইল’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ বিদেশসচিব লিজ ট্রুস এককদম এগিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেন দখল করেই ক্ষান্ত হবেন না পুতিন৷ টুকরো হয়ে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নকে জোড়া লাগাতে চান তিনি৷’ তাই পশ্চিমি দেশগুলিকে একত্রিত হয়ে মস্কোকে আটকাতে হবে৷ নইলে ঘড়ির কাঁটাকে ঘুরিয়ে ৯০-এর দশকের অবস্থায় ফিরে যাবে রাশিয়া৷ সোভিয়েত থেকে বেরিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়া ইসটোনিয়া, লাটভিয়া, বলকানস, সার্বিয়া, আলবানিয়া রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে৷
আরও পড়ুন: Ukraine-Russia Crisis: শান্তিপূর্ণ মিটমাট চেয়ে পুতিনকে বৈঠকের প্রস্তাব ইউক্রেনের