ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরে ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর বদলা নিতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের কেঁপে উঠল পাকিস্তানের বাণিজ্যনগরী লাহোর (Lahore Blast)। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ একাধিক বিস্ফোরণে থরথর করে কেঁপে ওঠে লাহোর শহর। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে সতর্কতামূলকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়ালটন বিমানবন্দর। আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ধোঁয়ার ঘন চাদর। বেজে উঠেছে বিপদসঙ্কেতের সাইরেন।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ালটন বিমানবন্দরের (Walton Airport) সংলগ্ন গোপাল নগর এবং নাসিরাবাদ এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। এলাকা দু’টি লাহোরের অভিজাত বাণিজ্যিক ও সেনা সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন বহু মানুষ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে মাসুদ আজহারের পরিবারের অন্তত ১০ জনের মৃত্যু
এদিকে পাকিস্তান পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, ড্রোনের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতা থেকে বিস্ফোরক ফেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনার পরই ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে। তবে কারা এই হামলার পিছনে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে লাহোর মেট্রোপলিটন পুলিশ। হতাহতের সঠিক তথ্য এখনও হাতে আসেনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পরদিনই লাহোরে বিস্ফোরণকে ঘিরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দেখুন আরও খবর: