পিয়ংইয়ংয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার পাঁচ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করল বাইডেন সরকার। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য তাদের সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ট্রেজারি বিভাগ থেকে ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এ ছাড়াও উত্তর কোরিয়ার এই গণবিধ্বংসী কর্মকান্ডকে সমর্থনের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট একজন উত্তর কোরিয়ার, একজন রাশিয়ান ব্যক্তি এবং একটি রাশিয়ান কোম্পানির বিরুদ্ধে সাসপেনশনের নির্দেশ দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের (Kim Jong Un) উপস্থিতিতে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের এই পরীক্ষা সফল হলে, উত্তর কোরিয়ার নেতা দাবি করেন যে, এবার তাদের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধক ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই পরীক্ষার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাইডেন সরকার উত্তর কোরিয়ার পাঁচ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করে।
ট্রেজারি বিভাগের তরফে যে পাঁচ উত্তর কোরিয়ানকে চিহ্নিত করা হয়, তাদের মধ্যে একজন রাশিয়ায় এবং বাকি ৪ জন চীনে রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেকেন্ড অ্যাকাডেমি অফ ন্যাচারাল সায়েন্সকে বিভিন্ন সময় অর্থ, পণ্য বা একাধিক পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগ আছে। এই পাঁচ জন ওই দেশের সামরিক প্রতিরক্ষা কর্মসূচির সঙ্গে ব্যাপক ভাবে জড়িত বলে দাবি করেছে ট্রেজারি।
মঙ্গলবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসমান লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে যে ছবিগুলি ছাপা হয়, তাতে স্পষ্ট দেখা যায়, একটি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে উঠছে। দূরে একটি ছোট কেবিনের ভেতর থেকে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কিম জং উন ও তাঁর বোন কিম ইয়ো জং।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর কোরিয়ায় প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছিল। নতুন বছরে প্রথম সপ্তাহে দু’বার এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হয় বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারী থেকে বাঁচার লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন নিজের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির উপর বেশি জোর দিয়েছেন কিম।