কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইমেনের মারিবের সম্ভাব্য যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে তা পর্যবেক্ষণ করছে সোদি আরব ও ইরান৷ কারণ, যে কোনও মুহূর্তে যা কিছু হয়ে যেতে পারে৷ আর, এই যুদ্ধের সঙ্গে দুই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা থেকে শুরু সামরিক রণকৌশল নির্ভর করছে৷
এ দিকে চলতি সপ্তাহে হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বারো জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ হুথি বিদ্রোহীরা ইরানের মদদপুষ্ট। ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তিতে সহায়তা দিয়েছে। যদিও সোদি আরব এডেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহর হুথিদের দখলে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছিল৷ তারপর থেকে রিয়াদ ইয়েমেনে বিপর্যস্ত সরকারী বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে আটকে পড়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাত একসময় রিয়াদের পক্ষ নিয়েছিল৷ কিন্তু, এখন ইয়েমেন ভিন্ন পথ নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর অর্থ হল রিয়াদ তার ইয়েমেনের মিত্রদের মারিবের প্রধান যুদ্ধে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা করছে৷
মারিব সৌদি আরব সীমান্ত থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে৷ কিন্তু, হুথিরা শহর দখল করে নিলে তখন প্রতীকী পরাজয়ে পরিণত হবে৷ তাছাড়া, এই বিষয়টা ইরানের কাছে অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, ইরানের তাসনিম মিডিয়া গোটা যুদ্ধের বিষয়টি হাইলাইট করছে৷
এ দিকে হুথিরা এই আক্রমণকে “বিজয়ের বসন্ত” বলে অভিহিত করেছে৷ তারা ইতিমধ্যে তাদের কৌশল ব্যাখ্যা করেছে৷ তাসনিম সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হুথি মুখপাত্র বলেন, ইয়েমেনি সেনা বাহিনী, উপজাতীয় বাহিনীর সহায়তায়, মারিব, শাবওয়া এবং আল-বায়দা প্রদেশে সফল অভিযান চালিয়েছে৷ দ্বিতীয় পর্বে “বিজয় বসন্ত মুক্তি’ অভিযানে আরও ১,১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা মুক্ত করার ঘোষণা করা হবে।”