ওয়েব ডেস্ক: শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। একাধিক দফায় দুই দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের দেখাসাক্ষাৎ, সৌজন্য বিনিময় হয়েছে। হাসিনার আমলে পাকিস্তানের সম্পর্কে যে অবনতি হয়েছিল তা শুধরাতে চায় মহম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে তার আগে ইসলামাবাদকে ক্ষমা চাইতে বলল ঢাকা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উপর যে নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছিল, পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে তার জন্যই। ১৫ বছর পর দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই বৈঠকেই ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাল ওপার বাংলা। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন বিদেশ সচিব আমনা বালোচ এবং বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিন (Md Jasim Uddin) ।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বিরতি না করলে আমেরিকা মধ্যস্থতায় নেই, কেন এই হুঁশিয়ারি?
ক্ষমাপ্রার্থনা ছাড়াও ১৯৭১ সালের আগে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মিলিত সম্পত্তির ভাগ হিসেবে ৪.৫২ বিলিয়ন ডলার দাবি করেছে বাংলাদেশ। বৈঠকের পরে জসিমউদ্দিন বলেন, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভিত্তি স্থাপন করতে এই ইস্যুগুলোর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।”
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ দুই দেশের সম্পর্কের পথে চিরকালীন কাঁটা হয়ে আছে। পাক সেনার অপারেশন সার্চলাইটের জেরে প্রায় ৩০ লক্ষ বাঙালি খুন হয়েছিল। অসংখ্য নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের কাছে সরকারি ক্ষমাপ্রার্থনা এবং আর্থিক ‘ক্ষতিপূরণ’ চাইছে ইউনুসের সরকার। তারপরেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি হবে। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন লক্ষের বেশি পাকিস্তানি বাংলাদেশের ত্রাণশিবিরে বসবাস করছে, তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা।
দেখুন অন্য খবর: