কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশ। দেশের একাংশ এখনও জলের তলায়। বর্ষার প্রথম ধাক্কাতেই পর্যুদস্ত গোটা দেশ। কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহীন। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ বহু। দেশের মানুষের অনেকেই বলছেন, তাঁরা তাঁদের জীবনে এরকম ভয়াবহ বন্যা কোনওদিন দেখেননি। সিলেটের অধিকাংশ এলাকা এখনও জলমগ্ন। ২০০৪ সালেও ভয়ঙ্কর বন্যা হয়েছিল এদেশে। কিন্তু, এবারের বন্যা যেন তার থেকেও বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির খোলা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আগের তুলনায় একটু একটু করে জল নামছে। পরিস্থিতির সামান্য হলেও উন্নতি হচ্ছে বলে সরকারপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Draupadi Murmu: ময়ূরভঞ্জ থেকে দিল্লি পৌঁছলেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী
ভয়াবহ বন্যার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিলেটের এমএজি ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফের বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এই উড়ান ওঠানামা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে বন্যায় রানওয়েতে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ১৭ জুন থেকে বিমান চলাচল বন্ধের ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, জলের তোড়ে রেলের একটি সেতু ভেঙে যাওয়ার ৫ দিন পর ফের ঢাকা-ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এদিনই সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলবিবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরকার জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের জল একইরকম আছে। যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীর জল বাড়ছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুশিয়ারা ও তিতাস ব্যতীত সকল প্রধান নদ-নদীগুলোর জল কমতে শুরু করেছে।