ওয়েব ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় (Space Science) বড় পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা-র (NASA) সঙ্গে যৌথ প্রকল্প ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’-এ (Artemis Accords) এবার যুক্ত হল বাংলাদেশ। সম্প্রতি এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে মহাশূন্য অভিযানের বিষয়ে নিশ্চিত করল ঢাকা। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিব আশরফউদ্দিন। এর মাধ্যমে মহাকাশে পৌঁছনোর পথে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেন, “বাংলাদেশ আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে একটি মুক্ত, দায়িত্বশীল এবং শান্তিপূর্ণ মহাকাশ অনুসন্ধানের প্রতিশ্রুতি দিল। ভবিষ্যতে নাসা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”
আরও পড়ুন: বিজ্ঞানের বিষ্ময়! ১২ হাজার বছর পর পৃথিবীতে ফিরল সাদা নেকড়ে
এবার প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ আদতে কী এবং এর উদ্দেশ্য কী? নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মিশনের মূল লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে দীর্ঘমেয়াদি মানব বসতি গড়ে তোলা এবং ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করা। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ভারত ২০২৩ সালেই আর্টেমিস মিশনের সদস্যপদ গ্রহণ করে। এই চুক্তির আওতায় নাসা সদস্য দেশগুলির সঙ্গে মহাকাশ প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং সম্পদ ভাগ করে নেবে।
Welcome to Artemis, Bangladesh 🇧🇩
Bangladesh has become the 54th nation to commit to the safe and responsible exploration of space that benefits humanity. https://t.co/toLSesa67D pic.twitter.com/FUVA3uTJrB
— NASA Artemis (@NASAArtemis) April 8, 2025
এবার এই তালিকায় জুড়ে গেল বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের এই অংশগ্রহণ দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘স্পর্শ’-র জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। নাসা-র প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে স্পর্শ ভবিষ্যতে আরও উন্নত কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করতে পারবে, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, নাসা-র বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা—যার মধ্যে রয়েছে বিদেশে শিক্ষার সুযোগ এবং স্কলারশিপের সুবিধা।
দেখুন আরও খবর: