কাবুল : ক্ষমতায় আসার পর তারা দৃপ্ত কণ্ঠে শান্তির কথা ঘোষণা করেছিল । আশ্বাস দিয়েছিল নারী স্বাধীনতা । বলেছিল ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্ব মূলক সম্পর্ক বজায় রাখার । আর সেই তালিবানের নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর দেখা গেল ৩৩ জনের মধ্যে ১৪ জন সদস্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের মোস্ট ওয়ান্টেড-এর তালিকায়। কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই সরকারের নেতৃত্ব দেবেন মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ। দোহায় তালিবানের রাজনৈতিক দফতরের চেয়ারম্যান মোল্লা আব্দুল গনি বরাদরকে কার্যনির্বাহী উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। অন্য তালিব নেতাদের তুলনায় কম পরিচিত মুখ হলেও আখুন্দের নাম রয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জঙ্গি-তালিকায় ।
আরও পড়ুন- Phd-মাস্টার ডিগ্রির কোনও গুরুত্ব নেই, দাবি তালিবান শিক্ষামন্ত্রীর
হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হক্কানি হয়েছেন কার্যনির্বাহী অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী। পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজ়িরিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সিরাজুদ্দিনের সঙ্গে তালিবান এবং আল কায়দার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। এফবিআইয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা তাঁকে ধরতে আমেরিকা ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। কার্যনির্বাহী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন হিবাতুল্লার শিষ্য এবং মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব। কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্রী হয়েছেন আমির খান মুত্তাকি, উপ-বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজ়াই, কার্যনির্বাহী অর্থমন্ত্রী হেদায়েতুল্লা বদ্রি । স্বাভাবিক ভাবেই, শান্তির বার্তা দেওয়া তালিবান সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার এই চেহারা দেখার পর সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল ।
নতুন সরকারের যে সদস্য তালিকা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে পাঁচ জন সদস্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে মুক্তি পেয়েছিলেন । প্রত্যেকে নানা সময় মার্কিন বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত । আবার যে তালিবান প্রশাসন আফগানিস্তানে মহিলাদের স্বাধীনতার কথা বড় মুখ করে দাবি করেছে, সেই তালিবানের মন্ত্রিসভায় একটিও মহিলা মুখ নেই ।