বুয়েনোস আইরেস: করোনা আবহে বদলে গিয়েছে সমাজ। এই মারণ ভাইরাস প্রতিহত করতে অন্যান্য রোগ সম্পর্কে মানুষ গুরুত্ব হারিয়েছে। যার বড় প্রভাব পড়েছে জনস্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। সেই কারণে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনার প্রশাসন। বিপুল পরিমাণ কাঠের পুরুষাঙ্গ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ুন- বোনের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে পাখির খাবার বিক্রি করছে ‘নাবালক দাদা’
গত বছরের শেষের দিকে প্রাণ হারিয়েছেন ওই আর্জেন্টিনার গৌরব দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। চলতি সপ্তাহে বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন লিওনেল মেসি। ফুটবলার মেসি-মারাদোনার বাইরেও আর্জেন্টিনার আরও অনেক কিছুই রয়েছে যা বিশ্ববাসীর অজানা। তেমনই একটি তথ্য হচ্ছে সাম্প্রতিক অতীতে ওই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন- বামেরা সংখ্যালঘু হতেই দেশে বেড়েছে দারিদ্রতা, দাবি ইয়েচুরির
করোনাকালে মানুষের মন থেকে প্রায় উঠে গিয়েছে জনসচেতনতা। আর্জেন্টিনায় করোনা সংক্রমণের হার ৯০ শতাংশের বেশি। যার কারণে অন্য রোগ সম্পর্কে মানুষ ভাবনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে বললেই চলে। যার কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এইডস, হেপাটাইটিস জাতীয় নানান রোগ। সেই সকল রোগের সংক্রমণ রোধ করতেই বিশেষ পরিকল্পনা করেছে আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ন- আকালের অভিযোগ উড়িয়ে টিকাকরণে সাফল্যের দাবি মোদির
স্থির করা হয়েছে করোনাকালেই অন্যান্য রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতায় জোর দেওয়া হবে। যার জন্য কেনা হবে ১০ হাজার কাঠের পুরুষাঙ্গ। সেই সঙ্গে সমান সংখ্যক কন্ডোম, ব্রিফকেস, রিবন এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীও কেনা হবে। দেশের ১০০টি শহরে এগুলি সরাবরহ করা হবে জনসচেতনতার জন্য।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন যে করোনার সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মানুষ অন্য রোগের কথা ভুলে গিয়েছে। যার কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কন্ডোমের ব্যবহার এক ধাক্কায় অনেক কমে গিয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে এইচআইভি-র মতো রোগ। অন্যান্য রোগের সংক্রমণও বেড়েছে। সেই কারণে জনসচেতনতার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরুষাঙ্গ, কন্ডোম এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবহার হাতেকলমে দেখিয়ে মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজীব গান্ধী খেলরত্নের পর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের নাম বদলের উঠল দাবি
এই মহৎ কাজের জন্য আর্জেন্টিনা প্রশাসন এক লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৬৪ মার্কিন ডলার খরচ করতে চলছে। টেন্ডার ডাকাও হয়ে গিয়েছে। সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি বরাত পাওয়ার জন্য টেন্ডার জমা দিয়েছেন। যদিও এখনও বরাত দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে লন্ডনে রয়েছেন। করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠকের জন্য তিনি লন্ডন সফর করেছেন। মন্ত্রী মহাশয় দেশে ফিরলেই বরাত দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে।