ওয়েব ডেস্ক: দীপু চন্দ্র দাশের (Dipu Chandra Das) পর অমৃত মণ্ডল (Amrit Mondal) ওরফে সম্রাট, নৈরাজ্যের বাংলাদেশে (Bangladesh) গণপিটুনিতে হত্যার (Lynched) শিকার আরও এক হিন্দু যুবক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার কালিমোহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বুধবার রাতে এক গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৯ বছর বয়সি অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট।
স্থানীয়দের দাবি, সম্রাট নামের এই যুবক ‘সম্রাট বাহিনী’ নামে একটি উগ্রবাদী দলকে নেতৃত্ব দিতেন। চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পাংশা থানায় অন্তত দু’টি মামলাও রয়েছে বলে খবর। এমনকি তাঁর নামে একটি খুনের মামলাও রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: “আই হ্যাভ আ প্ল্যান,” তারেকের হুঙ্কারে চাপে পড়বে ইউনুস সরকার?
সূত্রের খবর, গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সম্রাট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সম্প্রতি তিনি আবার দেশে ফিরেছিলেন। বুধবার রাত প্রায় ১১টার সময় সম্রাট ও তাঁর সহযোগীরা স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ। এই সময় তাঁরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী সম্রাটকে ধরে ফেলেন এবং তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। তাঁর সহযোগীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সম্রাটকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার জানান, এ ঘটনায় সম্রাটের এক সহযোগী মহম্মদ সেলিমকে অস্ত্র সহ আটক করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: