কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: চাঁদে পাড়ি দিতে চলেছেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। চাঁদে, মঙ্গলে বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পরবর্তী অভিযানে মহাকাশচারী হয়ে যাওয়ার জন্য ১২ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে থেকে নাসা মোট ১০ জনকে বেছে নিয়েছে। এঁদের মধ্যেই রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন যুবক অনিল মেনন।
অনিলের বাবা ভারতীয়। তাঁর মা ইউক্রেনের। সাতের দশক থেকে তাঁরা মিনেসোটায় থাকতে শুরু করেন। সেখানেই ১৯৭৮ সালে জন্ম হয় অনিলের। তাঁর পড়াশোনা চলে মিনেসোটাতেই। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউরোবায়োলজি নিয়ে স্নাতক হন অনিল। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করে, পিএইচডি করেন স্ট্যানফোর্ড মেডিক্যাল স্কুলে। বিয়ে করেন আন্না মেননকে। তিনিও স্পেস এক্সেই কর্মরত। তাঁদের সন্তানও রয়েছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিল আদতে একজন শল্য চিকিৎসক। তবে, তিনি আমেরিকার বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেলও ছিলেন। এরপরে কর্মজীবন শুরু করেন ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সে। তিনি ছিলেন ফ্লাইট সার্জেন। এছাড়াও নাসার মহাকাশ অভিযানে মহাকাশচারীদের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন – নয়া ইতিহাস, স্পেস এক্সের রকেটে করে মহাকাশে ঘুরতে গেলেন চার পর্যটক
তবে, শুধু নাসা কিংবা স্পেস এক্সের চিকিৎসার দায়িত্বে নয়। ২০১০-এ হাইতির ভূমিকম্প, ২০১৫-য় নেপালের ভূমিকম্প ও ২০১১-য় রেনো এয়ারশো-র দুর্ঘটনায় অনিলই প্রথম চিকিৎসা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন।
অনিল ছাড়া নাসার তালিকায় রয়েছেন, নিকোল এয়ার্স, মার্কোস ব্যারিওস, ক্রিস্টিনা ব্রিচ, ডেনিস বার্নহাম, লুক ডেলেনি, অন্দ্রে ডগলাস, জ্যাক হ্যাথওয়ে, ক্রিস্টোফার উইলিয়ামস ও জেসিকা উইটনার। যাদের মধ্যে কেউ আমেরিকার বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট, বায়ো ইঞ্জিনিয়ার, পদার্থবিজ্ঞানী, নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট, চিকিৎসক, এবং সাইক্লিস্ট। সকলের ট্রেনিং শুরু হবে জানুয়ারি মাস থেকে। চলবে আগামী দু’বছর।