ওয়েব ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেই আন্দোলন শুরু হয় নেপালে (Nepal Gen Z Protest)। যুব সমাজ রাস্তায় নেমে এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। বিক্ষোভ থামাতে সরকার পদক্ষেপ নিলে তাতে এক এক করে ২২ জনের মৃত্যু হয়। তাতে আন্দোলনের তীব্রতা চরমে ওঠে। সেই থেকেই নেপালের কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli) সরকারের পতন ছিল সময়ের অপেক্ষামাত্র। মঙ্গলবার দুপুরেই পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর দেশত্যাগও করেন তিনি।
পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংসদ চত্বরে উল্লাস শুরু হয়। তবে রাজধানীর অন্যান্য অংশে সংঘাত, আগুন এবং ভাঙচুর অব্যাহত থাকে। তবে এর ফলে নেপালের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হল অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ছবি নেপালেও! কী কী মিল?
নেপাল সরকারের নতুন নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় গত সপ্তাহে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউবসহ জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও ক্ষোভ থামেনি। আন্দোলনকারীরা সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং ক্ষমতাবানদের সন্তানদের সুবিধাপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ‘নেপো কিড’, ‘নেপো বেবি’ ইত্যাদি হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলের বাড়ি ও প্রধানমন্ত্রী ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরায়। এখানেই শেষ নয়, এদিন নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ও শের বাহাদুর দেউবা এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী দীপক খাঁড়কার বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রপতির বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে ভাঙচুর করতে দেখা যায়। প্রথম দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করলেও এর বেশি কিছু শক্তি প্রয়োগ করা হয়নি। ফলে আন্দোলনকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারপরেই পতন হয় নেপালের ওলি সরকারের।
দেখুন আরও খবর: