ওয়াশিংটন: জীবনের প্রায় চার কুড়ি বছর ছুঁতে চলেছে বয়স। যার মধ্যে আড়াই কুড়ির বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছে শ্রীঘরে। গ্রাস করেছে বার্ধক্য। এই অবস্থায় প্যারলে মুক্তি পেলে রবার্ট এফ কেনেডির হত্যাকারী সিরহান সিরহান। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার তার প্যারোলে মুক্তি আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
আমেরিকার সেনেটর ছিলেন রবার্ট এফ কেনেডি। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাই। ১৯৬৮ সালের জুন মাসের ছয় তারিখ তিনি খুন হন। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সিরহান সিরহান নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জর্ডনের বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত।
সেই সময়ে সিরহানের বয়স ছিল মাত্র ২৪ বছর। তখন থেকেই কারাগারে দিন কাটাচ্ছিল সে। তার কারণে পিতৃহারআ হয়ে যান সেনেটর কেনেডির দুই সন্তান এফ কেনেডি জুনিয়র এবং ডগলাস কেনেডি। যারা গত ৫৩ বছর ধরে পিতৃশোকে অনুতপ্ত। শুক্রবার শুনানির সময়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডগলাস কেনেডি। অপরাধীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে ডগলাসের মতামত জানতে চায় আদালত।
আরও পড়ুন- করোনাকে সনাক্ত করতে বাজারে আসছে কোভিড ভাইরাস ডিটেকশন ডিভাইস
বাবার মৃত্যু সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে আদালতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ডগলাস। তিনি বলেন, “ছোট বয়স থেকে বাবার হত্যাকারীর নাম আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যতদিন বাঁচব ওই অবস্থার কোনও বদল ঘটবে না।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেরন, “একজন মানুষ হিসেবে হত্যাকারী সিরহান সিরহান সহানুভূতি ও ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য।” অন্য কোন ব্যক্তির জীবনের ঝুঁকি না থাকলে সিরহানের প্যারলে মুক্তির বিষয়ে তাঁদের কোন আপত্তি নেই বলে জানান ডগলাস।
গ্রেফতারের সময় সিরহান
মৃত রবার্ট এফ কেনেডির সন্তানের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শিরহানের প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করেন সানডিয়াগোর আদালত। যদিও এখনই আদালত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না সিরহান সিরহান। কারণ ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের নিয়ম অনুযায়ী আদালত কোনও অপরাধীকে প্যারোলে মুক্তি দিলেও তাকে শ্রীঘরেই থাকতে হয়। বিষয়টি নিয়ে প্যারোল বোর্ড আলোচনার পরে গভর্নরের কাছে পাঠায়। গভর্নর অনুমতি দিলে তবেই মুক্তি পায় অপরাধী।
আরও পড়ুন- গণেশ বাগাড়িয়া অডিও টেপ কাণ্ডে ইডির তিন কর্তাকে তলব করল কলকাতা পুলিশ