আফগানরা চাইলে ৩১ অগস্টের পরও দেশ ছাড়তে পারবেন, অনুমতি দিল তালিবানরা। গত বুধবার জার্মানির এক দূত জানিয়েছেন, এক বৈঠকে তালিবানদের তরফে জানানো হয়েছে যে, যে সকল আফগানবাসীদের কাছে সঠিক নথিপত্র থাকবে, তাঁরা ৩১ অগস্টের পরও আফগানিস্তান ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তান নিয়ে কেন্দ্রের সর্বদল বৈঠক আজ, যোগ দিচ্ছে তৃণমূল
আগামী ৩১ অগস্টের পর আর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা রাখা যাবে না। তালিবানদের তরফে আগেই হুমকি দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার না করা হলে তার ফল খারাপ হবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সেই সঙ্গে ৩১ অগস্টের পরেও যদি কেউ আফগানিস্তান ছাড়তে চান, তাহলে তাঁদের আনার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু জার্মানির দূত মার্কাস পোর্টজেল টুইট করে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে তালিবান উপ প্রধান শের মহম্মদ আব্বাস স্টানিকজাইয়ের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সঠিক নথিপত্র দেখতে পারলে আফগানিস্তানের নাগরিকদের ৩১ অগস্টের পরও দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু তালিবানদের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা ১৬ জন কোভিড পজিটিভ
৩১ অগস্টের পর আফগানদের দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার জি ৭-এর বৈঠক হয়। যত দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তান থেকে আমেরিকায় সাধারণ মানুষকে স্থানান্তরিত করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে ৩১ অগস্টের পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ৩১ অগস্টের পর আফগানিস্তান থেকে মানুষকে বার করে অন্যত্র পাঠানোর বিষয়ে তালিবানের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এই ব্যাপারে জি৭-এর বাকি দেশগুলিও একমত হয়েছে। আমাদের প্রধান শর্ত হবে যদি ৩১ অগস্টের পরেও কেউ আফগানিস্তান ছাড়তে চান তাঁদের সুরক্ষিত ভাবে দেশ ছাড়তে দিতে হবে। তিনি আরও জানান, তালিবানদের কাছে তাদের একটা শর্ত থাকবে, ৩১ অগস্টের পরেও যাঁরা আফগানিস্তান ছাড়তে চান, তাঁদের সুরক্ষিত ভাবে দেশ ছাড়তে দিতে হবে।