কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দুষ্টু মেয়েদের ঘরবন্দি করে রাখা হবে। হাসতে হাসতে জবাব আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার। দীর্ঘ যুদ্ধের শেষে মার্কিন বকলমা সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারী স্বাধীনতাকে একপ্রকার শিকল বেঁধে রেখেছে তালিবান। এবার নারীশিক্ষা ও অধিকার নিয়ে বলতে গিয়ে তালিবানের শীর্ষনেতা তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, যারা অবাধ্য হবে, সেই মেয়েদের ঘরেই পুরে রাখা হবে। খোলা আকাশের স্বাধীনতা তাদের জন্য নয়।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালিবান মহিলাদের যাবতীয় স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। নারী স্বাধীনতা হরণের একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে। এই অবস্থায় তালিবানের ওই শীর্ষনেতার কথায় ফের একবার সেদেশে নারী শিক্ষা প্রশ্নের মুখে উঠে এসেছে। সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদমর্যাদার এক নেতা সিরাজুদ্দিন হক্কানি মেয়েদের জন্য ‘সুখবর’ আছে বলে জানাতে গিয়ে একথা জানান। তাঁর সুখবর বলতে মেয়েদের স্কুলে ফেরানোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন হক্কানি।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: ধনখড়ের তলবে সময় চাইলেন ব্রাত্য, যাবেন শিক্ষাসচিব
একইসঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, স্কুলে ফেরানো হলেও যে মেয়েরা দুষ্টুমি করার চেষ্টা করবে, তাদের ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।
কী সেই দুষ্টুমি?
তাঁর ব্যাখ্যায় হক্কানি বলেন, দেশে মেয়েদের আচার-আচরণ কী হবে, এ বিষয়ে তালিবান নির্দিষ্ট পথ অমান্য করাটাই দুষ্টুমির পর্যায়ে পড়বে। এরকম তালিবান-বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সেই মেয়েদের স্কুল থেকে ঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে হেসে জানান তিনি। যারা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বর্তমান সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, তারাই মন্দ মেয়ে— বলেন হক্কানি।
আরও পড়ুন: Weather Updates: আগামী দুদিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের
তালিবান জানিয়েছে, দেশে মেয়েদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটাই তাদের জন্য বিরাট সুখবর। ভবিষ্যতে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নারীশিক্ষা চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চলছে। যদিও যে শিক্ষাই হোক না কেন, তা হবে পাশ্চাত্য প্রভাবমুক্ত। তালিবান সংস্কৃতি ও ইসলামি পদ্ধতিতে। এর আগেই তালিবান মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেয়। এমনকী অতি সম্প্রতি তালিবান নির্দেশ দিয়েছে যে, মেয়েদের মাথা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত মুড়ে রাস্তায় বেরতে হবে। শুধু চোখ দুটি খোলা রাখা যাবে।