ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বছর ১৯৭২৷ কারণ কী? কী ভাবে দীর্ঘতম বছর হল ১৯৭২?
দীর্ঘতম বছর হওয়ার পিছনে দুটি কারণ রয়েছে৷ একটি লিপ ইয়ার৷ দুই ‘লিপ সেকেন্ড’। সাধারণত আমরা লিপ ইয়ার কথা শুনতেও ‘লিপ সেকেন্ড’-এর কথা খুব একটা শুনিনি৷ ১৯৭২ সাল গড় সময়ের তুলনায় দুই সেকেন্ড বড় ছিল৷ সেই অতিরিক্ত দু’সেকেন্ডকে ‘লিপ সেকেন্ড’ বলা হয়।
আরও পড়ুন-বপাকিস্তানে দল বেধে মন্দিরে হামলার ভিডিও ভাইরাল, নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়
বড় থাকার কারণ? পৃথিবীর নিজের অক্ষের চারপাশে ঘুরতে সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা৷ তার উপর ভিত্তি করেই আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণ করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ হাজার চারশো সেকেন্ড রয়েছে। আর সূর্যের চারপাশে ঘুরতে ৩৬৫ দিন সময় লেগে যায়। এই ঘোরার উপর নির্ভর করেই দিনরাত, জোয়ার-ভাটা এবং ঋতু পরিবর্তন হয়৷ কিন্তু পৃথিবীর গতি সব সময়ই একই থাকে না। অনেকগুলি প্রাকৃতিক বিষয়ের উপর পৃথিবীর এই গতি নির্ভর করে। কখনও পৃথিবীর গতি সামান্য বেড়ে যায় আবার কখনও সামান্য কমেও যায়। এইফলেই জোয়ার-ভাটা, অগ্ন্যুৎপাত ঘটে৷
আরও পড়ুন-বদিল্লি ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের তদন্ত করবে ক্রাইম ব্রাঞ্চ
১৯৭২ সাল থেকে লিপ সেকেন্ড যোগ করা শুরু হয়। ৩০ জুন এবং ৩১ ডিসেম্বর এই দুই দিনে লিপ সেপেন্ড যোগ করা হয়। এই বাড়তি এক সেকেন্ডকে বলা হয় লিপ সেকেন্ড। আন্তর্জাতিক আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস ঠিক করে কোন বছর লিপ সেকেন্ড ঘড়িতে যোগ করা হবে তা নির্ধারণ করে৷ তারা অনেক আগে থেকেই ঘোষণা করে কোন বছরে এই লিপ সেকেন্ড যোগ করা হবে৷
আরও পড়ুন- পকসো আইনের অপব্যবহার হচ্ছে, সংশোধনের প্রয়োজন মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের
১৯৭২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ২৭ বার লিপ সেকেন্ড যোগ হয়েছে। যেমন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ৩১ ডিসেম্বরে লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়৷ তবে, ১৯৮০ সালে কোনও লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়নি। এরপর ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ দুবছর ৩০ জুন যোগ করা হয়। ফের ১৯৮০ সালের মতো ১৯৮৪ সালেও কোনও লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়নি। শেষ ২০১৬-এ যোগ করা হয়েছিল। ১৯৮৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বেশ কয়েকবার লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়েছিল৷ ২০১৬-এর পরে আর কোনও লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়নি।
আরও পড়ুন- মহরম,দুর্গাপুজোতেও করোনার বিধিনিষেধ থাকবে, রাজ্যগুলিকে চিঠি কেন্দ্রের
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস প্রয়োজন মনে করলে লিপ সেকেন্ড যোগ করার কথা আগে থেকেই ঘোষণা করতে পারে৷ কিন্তু, বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা লিপ সেকেন্ড বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এনেছে। কারণ, মিনিটে এক সেকেন্ড যোগ হওয়ার ফলে বহু কম্পিউটার অতিরিক্ত সময় নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বহু সফটওয়্যারকে।