ওয়েব ডেস্ক : বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে নেপাল (Nepal)। এই পরিস্থিতিতে সেখানে লুটপাটের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনাও সামনে এসেছে। এসবের মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, ১৫ হাজার দাগি অপরাধী পালিয়ে গিয়েছে নেপালের বিভিন্ন জেল থেকে। আর তারা নাকি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে! বুধবারই উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে।
জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুর একাধিক কারাগার থেকে পালিয়েছে কয়েদিরা। অন্যদিকে নাবালক সংশোধনাগার থেকে পালাতে গিয়ে সম্প্রতি অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে। আহত হয়েছে আরও ৭ জন। নেপালের (Nepal) নৌবস্তা জেলের প্রধান বলেছেন, কিশোর কয়েদিরা গেট ভেঙে পালানোর সময় তাদের উপর গুলি চালানো হয়। আর তাতেই প্রাণ হারায় ৫ জন। অন্যদিকে নেপালের পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে সেনা নামানো হয়েছে। এমনকি জারি রয়েছে কারফিউও।
আরও খবর : চার্লি কার্ক খুনের ঘটনায় হুমকি ট্রাম্পের!
প্রসঙ্গত, নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিলই। পাশাপাশি গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স সহ বিভিন্ন ধরণের সোশাল মিডিয়া (Social Media) প্ল্য়াটফর্ম। সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, প্রশাসনের সঙ্গে সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয়নি সোশাল মিডিয়া প্ল্য়াটফর্মগুলি। ডেডলাইন দেওয়ার পরও এই প্ল্যাটফর্মগুলি তা না মেনে চলায় সেগুলিকে নিষিদ্ধ করেছিল কাঠমান্ডু সরকার। এর কারণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার তরুণ।
এর পর সোমবার সকাল থেকে কাঠমান্ডুর রাস্তায় প্রতিবাদে নামে হাজার হাজার মানুষ। তবে রাতের দিকে তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। সেই আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ার কারণে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং সে দেশ থেকে এখনও অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যেই সেদেশের জেল থেকে ১৫ হাজার দাগি অপরাধীর পালানোর খবর সামনে এল। অনেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলেও আশঙ্কা বাড়ছে।
দেখুন অন্য খবর: