ইসলামাবাদ: আদালতের পিওনের পদের জন্য একজন কর্মী নিয়োগ করা হবে। সেই পদের জন্য আবেদন জমা প্রল ১৫ লক্ষ মানুষের। যাদের মধ্যে এমফিল ডিগ্রিধারী লোকজনও রয়েছেন। এমনই ছবি দেখা গিয়েছে পড়শি রাষ্ট্র পাকিস্তানে। যা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের সাফল্য নিয়ে।
ক্রিকেটের মাঠে সফল অধিনায়ক কোন উপায়ে দেশ চালাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। দেশকে বিশ্বকাপ দেওয়া ইমরানের হাত ধরে পাকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। যার বড় প্রমাণ এই পিওন পদের জন্য ১৫ লক্ষ মানুষের আবেদন। যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে ওই দেশের দুর্দশার ছবি। বেকারত্ব কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে তা সহজে অনুমান করা যায়।
আরও পড়ুন- আরও শক্তিশালী নিম্নচাপ, ভোগান্তি বাড়িয়ে ব্যাপক বৃষ্টি বঙ্গে
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের একটি হাইকোর্টে পিওন পদের জন্য কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে একজনকেই নিয়োগ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়। সরকারি রিপোর্ট অনুসারে ওই পদের জন্য ১৫ লক্ষ আবেদনকারী আব্দন করেছেন। এমফিল করা ব্যক্তি অইওন পদে আবেদন করায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন- সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত, টানেলের মাধ্যমে জুড়ছে কাশ্মীর-লাদাখ, কাজ পরিদর্শনে গড়করি
চাকরি দিতে ইমরান সরকার ব্যর্থ বলে আগেই জানিয়েছিল পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস। বেকারত্বের হার পাকিস্তানে ১৬ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলেছে বলে দাবি করেছে ওই সংস্থাটি। যদিও সরকারের দাবি পাকিস্তানে বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস জানিয়েছে দেশের শিক্ষিত ব্যক্তিদের ২৪ শতাংশ কর্মহীন। শিক্ষিত মহলাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ চাকরি পায়নি।