কাবুল: এক মাস হতে চলল আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান৷ মহিলাদের উপর অনেক ফতোয়া চাপিয়েছে তারা৷ কাজে যোগ দিতে বাড়ির বাইরে পা রাখতেই আবার তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা৷ তবে রাবিয়া জামাল (Rabia Jamal) ভাগ্যবতী৷ ৩৫ বছরের রাবিয়া তালিবান জমানায় যোগ দিতে পেরেছেন কাজে৷ তাঁর কর্মক্ষেত্র কাবুল বিমানবন্দর (Kabul Airport)৷ তিন সন্তানের মা অকপটভাবে বলেন, ‘পরিবারকে সাহায্য করার জন্য আমার টাকার দরকার৷ তাই কাজে বেরিয়েছি৷’
আরও পড়ুন: নিজেদের বোরখায় ঢেকে তালিবানের সমর্থনে মিছিল শতাধিক মহিলার
আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালিবান (Taliban) ফিরে আসতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেন মহিলারা৷ তারা জানতেন তালিবান তাদের কখনই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কাজ করার অনুমতি দেবে না৷ তাই গত দু’দশকে তিল তিল করে আদায় করা অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে কাবুলের রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানান আফগান মহিলারা৷ বন্দুকের নলের ভয়কে উপেক্ষা করে জঙ্গিদের চোখে চোখ রেখে বলেন, ‘আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে৷’ তালিবানকে বুঝিয়ে দেন, তাঁরা ২০ বছর আগের আফগানিস্তানের (Afghanistan) মহিলা নন৷
কাবুল বিমানবন্দরে কর্মরতা মহিলা৷ ছবি- সৌজন্যে টুইটার৷
১৫ অগস্ট কাবুলের পতনের আগে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ৮০ জন মহিলা কাজ করতেন৷ এখন মাত্র ১২ জন মহিলা কাজ করছেন৷ তবে অধিকাংশ মহিলা তালিবানের ভয়ে কাজে যোগ দিতে পারেননি৷ রাবিয়ার মত কাবুল বিমানবন্দরে কর্মরতা মহিলারাও জানিয়েছেন, সংসারের হাল ধরতে কাজে বেরিয়েছেন৷ ৪৯ বছর বয়সী কুদসিয়া জামাল জানিয়েছেন, ‘আমি কাজে যোগ দেওয়ায় পরিবারের সকলে ভয় পেয়ে গিয়েছে৷ ওরা আমাকে কাজে যোগ দিতে বারণ করেছিল৷ কিন্তু কাজে ফিরতে পেরে আমি খুশি৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি৷’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি মুদ্রা নয়, ‘আফগানিতেই’ হবে লেনদেন, জল্পনা উড়িয়ে নির্দেশ তালিবানের
কাবুল বিমানবন্দরে মহিলা যাত্রীদের চেকিংয়ের জন্য মহিলা কর্মীদের প্রয়োজন৷ তালিবানের তরফে মহিলাদের কাজে যোগদান নিয়ে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি৷ বরং তাঁদের কাজ করার অনুমতি দিয়েছে৷ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর কোনও মহিলা কাজে যোগ দিতে পারবেন না৷