ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ করতে পারছেন না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Minorities in Bangladesh) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ট্রাম্প প্রশাসন। সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মহম্মদ ইউনুস সরকারের (Md Yunus government) উপর চাপ বাড়াল ট্রাম্প প্রশাসন (Donald Trump administration)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক (US International Religious Freedom Commission) কমিশন বলেছে,বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর জীবন বিপন্ন। তারা স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ করতে পারছেন না। এমনকী সেদেশ বসবাসকারী সংখ্যলঘুদের জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।
মার্কিন সংস্থাটির প্রতিনিধিরা মে মাসে বাংলাদেশ সফর করেছেন। ঢাকায় মার্কিন সংস্থাটির সফরের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে সফরে তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে তাদের কথা হয়। প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বাস দেন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন বলে রিপোর্টে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। মার্কিন সংস্থাটি প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। আগস্টে সেনাবাহিনীর সমর্থনে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মহম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও সরকার পতনের সময় দেশে কার্যকর কোনও প্রশাসন না থাকায় ভয়াবহ সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: শত্রুকে বুঝতে এবার ইসলাম ও আরবি শিক্ষা নেবে ইজরায়েলের সেনা!
মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসার পর লাগাতার দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলার খবর পাওয়া যায়।মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১ হাজার ৬৭৭ জন। এ সময় ১৯ জন গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাগুলি নিয়ে সে দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠানগুলি প্রথম থেকেই সরব। ভারত সরকারও একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মহম্মদ ইউনুসকে তাঁর দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ট্রাম্প প্রশাসন চালিত ওই প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে তারা উদ্বেগজনক তথ্য পেয়েছেন।
অন্য খবর দেখুন