ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) একের পর এক উস্কানিমূলক হামলার জবাবে অবশেষে তীব্র প্রতিশোধ নিল ভারত। লাহোরে (Lahore) সফল অপারেশনের পরে এবার ইসলামাবাদ, করাচি এবং শিয়ালকোটেও টার্গেটেড স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। একদিকে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যখন জম্মু ও জয়সলমীরে আঘাত হানছে, অন্যদিকে রাতভর জেগে জবাব দিচ্ছে ভারতের সাহসী সেনারা। পাকিস্তান একযোগে ৭০টি ড্রোন হামলা চালালেও, বুক চিতিয়ে লড়েছে ভারতের বীর বায়ুসেনা।
এই সংঘর্ষের আবহে বাঙালির মনে জেগেছে একটাই প্রশ্ন— সোনার কেল্লা কি নিরাপদ? ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, এই স্ট্রাইকে সংযম দেখানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের বসবাসের এলাকায় কোনও হামলা চালানো হয়নি। সব হামলাই হয়েছে জঙ্গিদের নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযানে নিধন হয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের একাধিক জঙ্গি।
আরও পড়ুন :
সরকারি ভাবে পাকিস্তান এখনও কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি, তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১০০ জন পাকিস্তানি নিহত হয়েছে। ভারতীয় পক্ষেও কিছু প্রাণহানির খবর এসেছে— অন্তত তিনজন ভারতীয় শহিদ হয়েছেন ক্রস-ফায়ারে। এই অপারেশনের পরে ভারতীয় সেনা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, এবং এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছে— “Justice is served”।
ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে এবং বিভিন্ন টার্গেট লোকেশন বিশ্লেষণ করছে। সূত্রের খবর, এই অপারেশনে কমপক্ষে ৮০-৯০ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মাসুদ আজহারের পর এবার খতম হয়েছে আরও এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি— আব্দুল মালিক মুদাসসির। লস্কর-ই-তৈবার এইচভিটি (High Value Terrorist) তালিকাভুক্ত এই জঙ্গির মৃত্যু পাকিস্তান জঙ্গি কার্যকলাপে বড় ধাক্কা।
এই অপারেশন ‘সিন্দুর’-এর মাধ্যমে ভারত বুঝিয়ে দিল, আত্মরক্ষার প্রশ্নে সে কোনও আপস করে না। এবার কূটনৈতিক স্তরেও কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেয় পাকিস্তান, সেদিকেই নজর সবার।
দেখুন আরও খবর: