কলকাতা: কিশমিশ এমন এক ধরনের ড্রাই ফ্রুট যা, আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। আঙুরের মধ্যে যে সব গুণাগুণ আছে, তা কিশমিশেও রয়েছে। এছাড়াও কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রেখে, তবে খাওয়া উচিত। এর ফলে এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়।
সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে, সকালে খালি পেটে খেলে অনেক গুণ বেশি উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই উপকারিতাগুলো।
আরও পড়ুন: Talk On Facts | স্টেশনের নামের পাশে PH লেখা থাকে কেন? ‘আসল’ কারণ শুনলে চমকে যাবেন
হার্ট
ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও দূর করে।
রক্তশূন্যতা
শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আয়রনের। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। প্রতিদিন জলে ভিজিয়ে কিশমিশ খেলে শরীরে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
দৃষ্টিশক্তি উজ্জ্বল
অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ এবং বিটা-ক্যারোটিন যুক্ত কিশমিশে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে।
রক্তচাপ স্বাভাবিক
কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে লবণের পরিমাণ ভারসাম্য রেখে, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। হজমের সমস্যা বাড়াতে ২ থেকে ৪টি কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে সেই কিশমিশ খান এবং বাকি জলটাও পান করুন। এর ফলে হজমের সমস্যা খুব কম সময়েই দূর হয়ে যাবে। প্রতিদিন অন্তত ৫-৬ টা কিশমিশ খেলে শরীর ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে।